বাজেট ছাড়াই পুর পারিষদের সভায় দু’দফায় প্রায় ৪ কোটি টাকা কাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভা।
গত ২২ সেপ্টেম্বরের সভায় বালুরঘাট ভবন, ক্ষণিকার মতো একাধিক অতিথি আবাস সংস্কার সহ একগুচ্ছ কাজের জন্য ২ কোটি ২৪ লক্ষ ৩ হাজার টাকা অনুমোদন করেন পুর কর্তৃপক্ষ। ফের ৩ নভেম্বর ওই একই অতিথি আবাস সংস্কার বাবদ ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৭ হাজার টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলরদের অভিযোগ, আগের বরাদ্দ ওই সোয়া দু’কোটি টাকার কাজ না করেই বাজেট ছাড়াই একই খাতে ফের দ্বিতীয় দফায় প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হল কোন যুক্তিতে?
পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী সুচেতা বিশ্বাসের দাবি, জমি কেনা থেকে সম্পত্তি হস্তান্তর এবং প্রকল্পের কাজে কোটি টাকার বরাদ্দের অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিতে হয় সাধারণ সভায়। কিন্তু পুরবিধি না মেনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পুরপারিষদের তিন সদস্য এবং এগজিকিউটিভ অফিসারের সামনে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিকাংশ কাউন্সিলরকে অন্ধকারে রেখে কাজ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পুরপ্রধান রাজেন শীলের বক্তব্য, একটি অতিথি আবাস সংস্কার খাতে প্রয়োজন ৩০ লক্ষ টাকার। কিন্তু একবারে ওই টাকা বরাদ্দ না মেলায় গত ৩ মার্চ পুরনিগম থেকে পাওয়া স্টেট ফিনান্স গ্রান্টের প্রায় আড়াই কোটি টাকার মধ্যে ক্ষণিকা, উৎসব ভবন সহ বিভিন্ন খাতে ১০-১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই ভাবে দ্বিতীয় দফায় পাওয়া প্রায় দেড় কোটি টাকা ওই ভাবে প্রকল্পগুলিতে ভাগ করা হয়েছে। তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন রয়েছে। বিরোধীরা তথ্য বিকৃত করে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে বলে পুরপ্রধানের দাবি। বালুরঘাট পুরসভার মোট ২৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে থাকা ১৪টির মধ্যে (চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহার মৃত্যুতে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডটি শূন্য রয়েছে) বর্তমানে রয়েছে ১৩টি। বিরোধী বামেদের ১১টি ওয়ার্ড দখলে রয়েছে।