চাহিদা মতো আলুর বন্ড না পেয়ে প্রধান ও কর্মীদের ভিতরে আটকে রেখেই গুড়িয়াহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন কৃষকরা।
পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের। বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। আলুচাষিদের অভিযোগ, হাতে গোনা বন্ড দেওয়া হচ্ছে। যা দিয়ে কুড়ি শতাংশ আলু হিমঘরে রাখা সম্ভব হবে না। সবাইকে বড় লোকসানের মুখে পড়তে হবে। অবস্থা সামলাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে পঞ্চায়েতকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “ওই বিষয়ে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। কী করে সমস্যা সমাধান করা যায়, সেই পথ বের করার চেষ্টা চলছে। পাশের জেলার সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে।” কয়েকজন চাষি বলেন, “আলুর দাম কম। বিক্রি নেই।”
কোচবিহারের আটটি হিমঘরে দেড় লক্ষ মেট্রিক টন রাখা সম্ভব। সেখানে আলুর উৎপাদন দশ লক্ষ মেট্রিক টন। বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি আড়াই-তিন টাকায় নেমে গিয়েছে। অন্য বার ভিন রাজ্য অসমে আলুর টান থাকলেও এ বারে তা নেই। অসমেও ভাল আলু উৎপাদন হয়েছে। এই অবস্থায় বিপুল পরিমাণ আলু কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে সঙ্কটে পড়ে যায় প্রশাসন। বৈঠক ডেকে প্রকৃত কৃষকদের হাতে বন্ড তুলে দিতে গ্রাম পঞ্চায়েতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, গুড়িয়াহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯৫০ প্যাকেট আলুর প্যাকেটের বন্ড দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের দাবি, পঞ্চাশ হাজার প্যাকেটের বেশি বন্ডের প্রয়োজন। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আশিস চৌধুরী বলেন, “এ কথা অস্বীকারের কোনও জায়গা নেই, যা বন্ড প্রয়োজন, তার সামান্যই মিলেছে। প্রশাসনকে সব জানানো হয়েছে।”
ওই এলাকার চাষি মদন দত্ত, রমেশ বর্মনরা দাবি করেন, অন্য বার এই সময়ে আলু হিমঘরে রাখা হয়। এবারে তা পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে মাঠে পড়ে থেকে আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাঁরা বলেন, “এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”