হাল: চার দিন ধরে বন্ধ এসকালেটর। স্টেশন চত্বরে চলছে নালা সাফাই। ছবি: স্বরূপ সরকার।
এনজেপি স্টেশন এ বার বিশ্বমানের হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। যদিও তার অনেক আগেই প্ল্যাটফর্ম টিকিট এবং প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষার মূল্য বাড়িয়েছে রেল। কিন্তু যাত্রীদের ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম ওই স্টেশন নিয়ে। পর্যটনের ভরা মরসুমেও যাত্রীদের একাধিক পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ। তার সঙ্গেই রেল পুলিশের নজরদারিতে চলা লাগেজ স্ক্যানারও একাধিক দিন খারাপ হয়ে পড়ে থাকে। তাতে নিরাপত্তা ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও রেল বা পুলিশকর্তারা বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি।
এনজেপি স্টেশনের বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্মেই বসানো হয়েছিল ট্রেনের কামরার অবস্থান উল্লেখ করার ইলেকট্রনিক বোর্ড। ট্রেন ঢুকলে যাতে দূর থেকেই যাত্রীরা দেখতে পান, তাঁর নিজের কামরা কোথায় রয়েছে। কিন্তু তা নষ্ট বহুদিন হল। এখন এনজেপিতে যাত্রীদের চাপ মারাত্মক। এই সময় ট্রেন ঢুকলেই দৌড়োদৌড়ি হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাতে যাত্রীদের অনেক সময়ই ট্রেনও মিস হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
সোমবার হাওড়া যাচ্ছিলেন অসমের বাসিন্দা অমর ডেকা। তিনি জানান, ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে এসে পৌঁছন। তাঁর কথায়, ‘‘বোর্ডগুলি কাজ করছে না, একে ওকে জিজ্ঞেস করেও বলতে পারছিল না। শেষে হকারকে জিজ্ঞেস করে তার আগের কামরায় চাপি।’’
এনজেপির এসকালেটর বেশিরভাগ সময়ই যাত্রীরা তা বন্ধই পান বলে অভিযোগ। অথচ, রেল সূত্রের দাবি, কয়েকদিন আগে এটি খারাপ হয়েছে। আজ, বুধবার থেকে ফের চালু হওয়ার কথা। ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তা চেকিং বন্ধ বলে অভিযোগ। কারণ এনজেপির একমাত্র লাগেজ স্ক্যানারটি প্রায়ই খারাপ হয়ে পড়ে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে না গেলে তাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে অভিযোগ।
বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্য শিলিগুড়ির রেল পুলিশ সুপার এবং এনজেপির এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ারার কিছু বলতে চাননি। কিন্তু পর্যটনের মরসুমে এ রকম পরিষেবায় ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। হিমালায়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘প্রচুর টাকা খরচ করে পরিষেবা ভাড়া করছেন। তাঁদের সুবিধাই যদি না দেখা যায়, তবে তা পেশাদারিত্ব মোটেই নয়।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।