নিশীথ প্রামাণিক।
বিজেপির জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ পড়লেন স্থানীয় সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের ঘনিষ্ঠ নেতা বলে পরিচিত ব্রজগোবিন্দ বর্মণ। বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলা বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকেই নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিটি থেকে পাঁচজন বাদ পড়েছেন। আনা হয়েছে নতুন মুখ। পুরনো কমিটিতে জেলার সহ সভাপতি হিসেবে ছিলেন ব্রজগোবিন্দ। ভেটাগুড়ির বাসিন্দা ব্রজগোবিন্দকে এবারের লোকসভা নির্বাচন থেকে বেশিরভাগ সময়ে নিশীথের পাশে পাশেই দেখা যাচ্ছিল। যদিও দলের পুরনো কর্মী হিসেবেও ব্রজগোবিন্দ পরিচিত। এই ঘোষণার পরে অবশ্য বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়। নিশীথ সাংসদ হলেও দলের জেলার কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বে তাঁকে প্রথম থেকেই রাখা হয়নি। এমনকি, তৃণমূল থেকে আসার পর নিশীথ তাঁর এক ঝাঁক অনুগামীকে বিজেপিতে আনতে চাইলেও তাতে সবুজ সঙ্কেত দেয়নি বিজেপির সঙ্ঘ-অধ্যুষিত সংগঠন। এবার তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাও বাদ পড়লেন। সেক্ষেত্রে কি সংগঠনে্ সাংসদকে আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হল, এমনই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে দলের অন্দরে। দল অবশ্য ওই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সাংসদ তাঁর নিজের জায়গায় রয়েছেন বলেই জেলা নেতৃত্বের অনেকেই জানিয়েছেন।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা অবশ্য জানিয়েছেন, নতুনদের সুযোগ দিতেই কয়েকজন নতুন মুখ আনা হয়েছে। যাঁরা বাদ পড়েছেন তাঁরা আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে পদাধিকারীদের বৈঠকে থাকবেন। তিনি বলেন, “কোনও পদই স্থায়ী নয়। নতুনেরা আসবেন। পুরনোরা যাবেন। পুরনোদের অনেকেই অন্য কমিটিতেও যাবেন।” ব্রজগোবিন্দ অবশ্য এ দিন বলেন, “আমাকে মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল। আমি ব্যক্তিগত কারণে যেতে পারিনি। ওই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জেনে পরে আলোচনা করব। আর পার্টি সবসময় নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছু কাজ করে।” সাংসদ নিশীথকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, মালতী রাভা আগেই সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার বাইরে তিনি এ দিন ২০ জনের নাম ঘোষণা করেন। সব মিলিয়ে ২১ জনের কমিটি ঘোষণা হয়েছে। এই কমিটিতে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন যোগেশ বর্মণ, সুশীল বর্মণ, পুষ্পেন সরকার, সাবিত্রী বর্মণ এবং প্রদীপ সরকার। এঁদের মধ্যে যোগেশ, পুষ্পেন সহ সভাপতি, বাকি তিনজনকে সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুরনো কমিটি থেকে ব্রজগোবিন্দ, জহর সরকার, যতীন বর্মণ-সহ পাঁচজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।