নতুন অ্যাপ। নিজস্ব চিত্র
বারবারই এলাকায় চলেছে গুলি, উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। খুনও হয়েছেন বাসিন্দারা। এ সব ঠেকাতেই এ বার অত্যাধুনিক কন্ট্রোল রুম চালু করল ইসলামপুর জেলা পুলিশ। চালু করা হল নতুন অ্যাপ ‘ইসলামপুর সহায়ক’। তাতে থাকছে প্যানিক বোতাম থেকে মেয়েদের হেল্পলাইন নম্বর—সবই।
কয়েক মাস আগেই ইসলামপুরকে পুলিশ জেলা ঘোষণা করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পান শচীন মক্কার। ইসলামপুর চোপড়া ডালখোলা এলাকায় যে সব সিসিটিভি রয়েছে তার নজরদারিও করা হচ্ছে পুলিশ সুপার অফিসের পাশের নতুন ওই কন্ট্রোলরুম থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দিনাজপুর সফরে তার উদ্বোধন করলেও বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তা চালু করলেন রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্র।
সূত্রের মতে, যে এলাকাটি ইসলামপুর পুলিশ জেলার অধীনে রয়েছে সেটি নানান অপরাধমূলক ঘটনার জন্য বারবারই শিরোনামে এসেছে। গত বছরই শহরের মধ্যে এক তরুণের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটে। কয়েক মাস আগে চা বাগানের জমি গন্ডগোলেও চলে গুলি, খুন হন এক মহিলা।
এ অবস্থায় শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতে ইসলামপুর, চোপড়া, ডালখোলায় বসানো হয় ৩৬৩টি সিসিটিভি। আর সেগুলির নজর রাখা হচ্ছে ইসলামপুর পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকেই। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে ১০০ নম্বরের ক্ষেত্রে। যদিও সে ক্ষেত্রে পুলিশের নজরদারি একটু আলাদা। ইসলামপুর পুলিশ জেলার যে কোনও প্রান্ত থেকে ১০০ নম্বরে ফোন করলেই কন্ট্রোল রুমে দেখা যাবে সংশ্লিষ্ট এলাকাটির ম্যাপ। শোনা হবে অভিযোগ। তার পর প্রয়োজন বুঝে ওই এলাকার কাছাকাছি কোথাও পুলিশ গাড়ি রয়েছে কি না, আশপাশে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার বা ভিলেজ পুলিশ থাকলে বিষয়টি তাঁদের জানানো হবে। এখানেই শেষ নয়। প্রতিদিন কতগুলি অভিযোগ আসছে, সেগুলির সমাধান কী হল—সে সব রিপোর্টও নেবেন পুলিশ সুপার। এই ধরনের কন্ট্রোল রুম রাজ্যের খুব কম জেলাতেই রয়েছে বলে দাবি পুলিশ আধিকারিকদের।
আর মেয়েদের সুবিধার জন্য চালু হল ‘ইসলামপুর সহায়ক’ নামে মোবাইল অ্যাপ। প্লে স্টোরেই অ্যাপটি মিলবে বলে খবর। ইসলামপুরে পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, ‘‘অ্যাপটি নিয়ে প্রচার শুরু হবে।’’
এলাকায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার রুখতে এই পরিষেবা কতটা প্রভাব ফেলবে সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডিজি বলেন, ‘‘পুরো কাজ করতেই খুব সুবিধা হবে। তবে মূলত এখানে অপরাধ ও ট্র্যাফিকের সমস্যা সমাধানের জন্যই কাজ করা হবে। বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে নারী সুরক্ষাতেও।’’