প্রতীকী চিত্র
রেলের বৈদ্যুতিকরণের কাজ এগোতেই নয়া প্রযুক্তিতে দূষণ এবং খরচ কমানোর পরিকল্পনা করল রেল। আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে বাতানুকুল কামরায় তুলে দেওয়া হচ্ছে জেনারেটর। তার বদলে ওভারহেড তার থেকেই বিদ্যুৎ নিয়ে কামরার ভিতরে আলো, পাখা, জল পরিষেবা দেবে রেল। সোমবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত আধুনিক মানের কামরা ‘হফম্যান বুশ’ শ্রেণিতেই এই নয়া প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে বাকি ট্রেনগুলিতেও তা কার্যকর করা হবে। ট্রেনের কামরার ভিতরে জেনারেটর কারগুলি ডিজেলচালিত। সেগুলি বন্ধ হলে পরিবেশ দূষণ এবং শব্দ দূষণের হাত থেকে মুক্তি যেমন মিলবে, তেমনি অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে এক একটি এসি রেক।
রেলের এই নয়া প্রযুক্তির নাম ‘হেড অন জেনারেশন’। বৈদ্যুতিক লাইনে ওভারহেড তার থেকে প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ সরবরাহে সচল থাকবে ট্রেনের কামরার ভিতরে সমস্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং পরিষেবা। বর্তমানে প্রতিটি এসি ট্রেনে দু’টি করে জেনারটর কার থাকে। বিশালাকায় ডিজেল চালিত সেই জেনারেটর রাখার ঝক্কি অনেক। দু’টি জেনারটর কার সরে গেলে এক একটি রেক অনেক হালকা হয়ে যাবে বলেও দাবি রেলের।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা জানান, নতুন প্রযুক্তি কার্যকর হলে বছরে এক একটি বাতানুকুল রেক থেকে রেলকর্তারা প্রায় ২ কোটি টাকা সাশ্রয়ের হিসেব কষছেন তাঁরা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘খরচ এবং দূষণের সঙ্গে সঙ্গে আমরা জেনারটর কার রক্ষণাবেক্ষণের সময়ও কমিয়ে ফেলতে পারব।’’ জেনারেটর কার তুলে দেওয়ার কাজ ধাপে ধাপে করা হবে বলে জানান রেল কর্তারা। তার আগে হফম্যান বুশ কামরাযুক্ত ট্রেনগুলিতে বৈদ্যুতিক লাইনে জুড়ে চালানোর নয়া পদ্ধতির প্রস্তুতি শুরু করেছে রেল। রেল কর্তারা জানান, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে শতাব্দী, মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির জন্যই অগ্রাধিকার দিয়ে নয়া কামরা লাগানোর প্রক্রিয়া কয়েকমাস আগেই শুরু করেছে। এখন তাতে নতুন প্রয়োগ করা হয়েছে। তা সফল হওয়ার পর এ বার নয়া প্রযুক্তির সেই রেক কার্যকর করা হবে। পরে ধাপে ধাপে বাকি এসি কোচগুলিতেও তা করা হবে। তবে রেল কর্তাদের ইঙ্গিত, একবার জেনারেটর কার সরিয়ে ফেললে কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক লাইনেই ওই পদ্ধতি কার্যকর হবে। ফলে এখন যে ট্রেনগুলি বৈদ্যুতিক লাইনে চলে, সেই ট্রেনগুলিকেই এই নয়া পদ্ধিতর আওতায় আনতে চায় রেল।