—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সোহেলদের নতুন খাবারে অভ্যস্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে কোচবিহারের রসিক বিল মিনি জু-তে। সম্প্রতি ঝাড়গ্রামের ‘জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক’ থেকে কোচবিহারের রসিক বিল মিনি জু-তে আনা হয় সোহেল, সুলতান ও শাহজাদকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোহেল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। সুলতান, শাহজাদ সোহেলের সন্তান, পুরুষ চিতাবাঘ শাবক। নতুন পরিবেশে অনেকটাই মানিয়ে নিতে শুরু করেছে তিনটি চিতাবাঘই। রসিক বিল মিনি জু-এর নাইট শেল্টারে দিন কাটছে ওই তিনটি চিতাবাঘের। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রসিক বিল চিড়িয়াখানার খাদ্যাভ্যাসে তাদের ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করে তোলার চেষ্টা শুরু হয়েছে। কোচবিহারের এডিএফও বিজন কুমার নাথ বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম থেকে আসা তিনটি চিতাবাঘকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকে সুস্থ রয়েছে। আচরণও স্বাভাবিক। ওদের এখানকার রুটিন মেনে খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত করে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানায় এক দিন পরপর চার কেজি করে মাংস দেওয়া হত সোহেলদের। রসিক বিলে থাকা চিতাবাঘদের সপ্তাহে এক দিন বাদে রোজই গড়ে আড়াই কেজি মাংস দেওয়া হয়। সেই অভ্যাসেই অভ্যস্ত রসিক বিল চিতাবাঘ উদ্ধার কেন্দ্রের পুরনো আবাসিক রিমঝিম, গরিমার মতো দু’টি স্ত্রী চিতাবাঘ। একই সঙ্গে বড় এনক্লোজ়ারে কয়েক দিনের মধ্যেই রাখা হবে সোহেলদের। তাই প্রত্যেকের জন্য একই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে শুরু থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
রসিক বিল মিনি জু-এর এক আধিকারিক জানান, শুক্রবার রাতে সোহেলরা ঝাড়গ্রাম থেকে এসেছে। তার পর থেকে দিনে গড়ে দেড় কেজি করে মাংস দেওয়া হচ্ছে। সোমবার রসিক বিল মিনি জু-এর নাইট শেল্টার থেকে খোলামেলা পরিবেশে তারজালি দেওয়া ঘেরাটোপে রিমঝিম ও গরিমাকে ছাড়া হয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন অতিথিদের আসার কথা মাথায় রেখে খোলা পরিবেশে পরিকাঠামো তৈরির কাজ হয়। সে জন্য রিমঝিম, গরিমাকেও নাইট শেল্টারে রাখা হয়েছিল। অন্য তিনটি পৃথক শেল্টারে অবশ্য আসার পর থেকেই সোহেলরা রয়েছে। গরিমা, রিমঝিমদের সঙ্গে এখনও কাছাকাছি আসার সুযোগ হয়নি সোহেলদের।
কোচবিহারের একটি পরিবেশ প্রেমী সংস্থার সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, ‘‘শুরুতেই আড়াই কেজি মাংস দেওয়া হলে নতুন অতিথিদের পরবর্তীতে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হতে পারে। সেজন্য আস্তে আস্তে বাড়ানোর পদ্ধতি মেনে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা হয়।"