অ্যাম্বুল্যান্সে ফিরেছে স্বামীর দেহ। ভাঙা ঘরের উঠোনে দেহ নামাতে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে জিনিস সরাতে ব্যস্ত স্ত্রী। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির গ্রামে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
বুধবার রাতের ঘটনার পরে আতঙ্কের পরিবেশ জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের হঠাৎ কলোনি এলাকায়। এলাকার বাসিন্দা মানিক রায়কে গাছে বেঁধে গণপিটুনিতে খুনের অভিযোগ উঠেছে সেখানে। শুরু হয়েছে পুলিশি ধরপাকড়। তার জেরে প্রায় পুরুষ-শূন্য গোটা এলাকা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মানিকের দেহ ফেরে গ্রামে। মন চাইলেও মানিকের শেষযাত্রায় যেতে ভয় পেয়েছেন গ্রামের অনেকে। এক দিকে, পুলিশের মামলায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়, অন্য দিকে, গ্রামের ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। তবে লটারি টিকিট বিক্রেতা মানিককে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শোনা গিয়েছে। কেউ বলেছেন, মানিক অনেককে মামলা-মোকদ্দমায় ‘জড়িয়ে’ দিতেন। আবার অনেকে বলেছেন, ‘‘মানিক প্রতিবাদী”। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, পাঁচ-সাত বছর আগে থেকেই মানিককে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তখন থেকেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের দুয়ারে ঘুরেছেন তিনি। লাভ ‘হয়নি’। শেষে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন।
এ দিন এলাকার এক বৃদ্ধ বলেন, ‘‘চিৎকার-চেঁচামেচি শুনেছিলাম। রাতভর পুলিশের আনাগোনা ছিল।’’ স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগ, ‘‘কিছু হলেই মানিক গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিথ্যা মামলা। আমরা সে কারণে তাঁকে এড়িয়ে চলতাম।’’