—প্রতীকী চিত্র।
শনিবার এক দিনে ১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছে শিলিগুড়ি শহরে। যাঁদের মধ্যে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ডাবগ্রাম এলাকার এক বাসিন্দা রয়েছেন। গত ৮ নভেম্বর ওই ওয়ার্ডে রাজীব গান্ধী স্ট্রিটের বাসিন্দা প্রাক্তন ক্রিকেটার এক যুবকের মৃত্যু হয়। ওই এলাকার সাফাই পরিষেবা নিয়ে এখনও অভিযোগ তুলেছেন সুরজিৎ সরকার, স্বপন ঘোষদের মতো বাসিন্দারা। সুরজিতের অভিযোগ, বাড়ির সামনে অনেক দুপুর পর্যন্ত আবর্জনা জমে থাকছে। বার বার বলা হলেও, তা সময়ে সরানো হচ্ছে না। অনেকের অভিযোগ, নিকাশি ঠিক না থাকায়, জল দাঁড়িয়ে থাকে। তাতে মশার উপদ্রব বেড়েছে।
পুরপ্রতিনিধি লক্ষ্মী পাল বলেন, ‘‘যে জায়গায় দুপুর পর্যন্ত জঞ্জাল থাকে বলা হচ্ছে, আসলে সেখানে সকালে এক দফায় তোলা হয়। ফের বিভিন্ন জায়গা থেকে বর্জ্য সেখানে জড়ো হলে, দুপুরে গাড়ি এসে তুলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে যায়।’’ ওয়ার্ড কমিটি সূত্রে দাবি, নিকাশির ঢাল নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও সে সব দেখা হচ্ছে। ওই ওয়ার্ড ছাড়াও, ২০, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন করে, ৫,৮, ৯, ১৮, ২৮, ৩১, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ দিন আক্রান্তের হদিস মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুর এলাকা এবং দার্জিলিং জেলা মিলিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আটশোর বেশি। তার মধ্যে শিলিগুড়ি শহরেই ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশো পার করেছে। শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত ২০০ ছাড়িয়েছে। পাহাড়েও আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। শিলিগুড়ি মহকুমার মধ্যে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া মাটিগাড়ার পরিস্থিতিই সবচেয়ে উদ্বেগের। এ দিন শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত পাঁচ জন নতুন করে আক্রান্তের হদিস মিলেছে। তার মধ্যে মাটিগাড়ায় এবং নকশালবাড়িতেই রয়েছেন দু’জন করে। ফাঁসিদেওয়া এলাকায় এক জন। শিলিগুড়ি পুর এলাকায় গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার শিলিগুড়ি শহরে ছয় এবং পাঁচ জন আক্রান্ত নতুন করে।
স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ নিয়মিত হচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা চলছে। জ্বর থাকলে ডেঙ্গির পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।