সবুজের পাশাপাশি এ বার হাতছানি পাহাড় ও বরফেও। পর্যটকদের জন্য এ বার ভুটানের থিম্পু ঘোরানোর ব্যবস্থা করতে চলেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা৷ একই সঙ্গে সিকিমের ছাঙ্গু লেক ঘোরারও সুযোগ পাবেন পর্যটকরা৷ এ বছরই এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার জলপাইগুড়ি ডিপো সূত্রের খবর৷ অনেক বছর থেকেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বিভিন্ন ডিপো থেকে পর্যটকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে৷ বর্তমানে জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে ঝালং, বিন্দু, লাভা–লোলেগাও, মিরিক, রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তীতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কোথাও এক দিনের, কোথাও বা এক রাত্রি দু’দিনের সময়সীমায় এই ভ্রমণের ব্যবস্থা করছেন সংস্থার কর্তারা৷ আর এ বার সংস্থার গাড়ি করে ঘুরতে যাওয়ার নতুন তালিকায় সংযোজন হতে চলেছে থিম্পু ও ছাঙ্গু লেক৷
সংস্থা সূত্রের খবর, এর আগেও সংস্থার জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে পর্যটকদের থিম্পু ও ছাঙ্গু লেক ঘোরার ব্যবস্থা ছিল৷ কিন্তু নানা জটিলতায় প্রথমে থিম্পু ও পড়ে ছাঙ্গু লেকে ভ্রমণ বন্ধ হয়ে যায়৷ সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফের ছাঙ্গু লেকে পর্যটকদের নিয়ে ভ্রমণ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের ৷ অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ শুরু হবে থিম্পু ভ্রমণ৷ নতুন এই দুই জায়গায় ভ্রমণ শুরু হলে সংস্থার আয়ও অনেকটা বাড়বে বলে আশায় সংস্থার কর্তারা ৷ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার জলপাইগুড়ি ডিপো ইনচার্জ স্বপন সেনের কথায়, “কর্তৃপক্ষ পর্যটনের ওপর যে ভাবে জোড় দিচ্ছেন, তাতে করে আগামী দিনে সংস্থার ভালই হবে৷”
জলপাইগুড়ি ডিপো সূত্রের খবর, থিম্পুকে কেন্দ্র করে যে ভ্রমণের ব্যবস্থা জলপাইগুড়ি থেকে হচ্ছে তাতে থিম্পুর পাশাপাশি পুনাখা ও পারোও থাকছে ৷ ফলে গোটা ভ্রমণটিই হবে চার রাত্রী পাঁচ দিন অথবা পাঁচ রাত ছয় দিনের৷ অন্য দিকে ছাঙ্গু লেকের উদ্দেশ্যে যারা যাবেন তাদের ছাঙ্গু থেকে নাথু লা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছের সংস্থার কর্তারা৷ এক্ষেত্রে ভ্রমণের সময়সীমা হবে তিন রাত চার দিন অথবা চার রাত পাঁচ দিন৷ থিম্পু ও ছাঙ্গু লেক ভ্রমণের বিষয়টি পর্যটকদের জানাতে জলপাইগুড়ি ডিপোর কর্তারা কলকাতায় ধর্মতলা সহ রাজ্যের বিভন্ন জায়গায় ব্যাপক প্রচার চালানো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়া ও আধুনিক কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ জুড়ে কী করে প্রচার চালানো যায়, তা-ও ভাবছেন তারা৷