প্রায় ৪ মাস গড়াতে চললেও পুলিশ ও সিআইডি সঙ্গীতা কুণ্ডুর হদিস করতে না পারায় উদ্বিগ্ন জাতীয় মহিলা কমিশন। তাই ওই মামলার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার জন্য একযোগে কেন্দ্র ও রাজ্যকে অনুরোধ করবে কমিশন। তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফর শেষে রবিবার শিলিগুড়িতে এ কথা জানান মহিলা কমিশনের সদস্য রেখা শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ-সিআইডি তরুণীকে অপহরণের অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু মেয়েটির কী হল, তা বলতে পারছে না। পুলিশ-সিআইডি যখন পারছে না, তখন সিবিআইকে দিতে হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা রাজ্যের কাছে সব জানিয়ে চিঠি দেব। কেন্দ্রকেও অনুরোধ করব তরুণীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।’’
তবে পুলিশ ও সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি অনেকটাই হয়েছে বলেই চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, নিখোঁজের হদিস না মিললেও অপহরণ, ষড়যন্ত্র, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগের পক্ষে অনেক তথ্যই মিলেছে। এই অবস্থায়, শিলিগুড়ির ‘মেয়ারটেল অ্যান্ড অর্গানাইজেশনে’র পক্ষ থেকে গত ১১ জানুয়ারি কমিশনের সদস্যার হাতে চিঠি তুলে দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার মাধবী মুখোপাধ্যায় সঙ্গীতাকে খুঁজে বার করার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা মহলে আর্জি জানাচ্ছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচার অফিসে গিয়েও স্মারকলিপি দিয়েছেন। কমিশনের সদস্যার উত্তরবঙ্গ সফরের সময়ে দেখা করে তাঁকে সঙ্গীতা অন্তর্ধান রহস্যের বিষয়ে নানা আশঙ্কার কথা জানান তিনি। শিলিগুড়ির জিম-পার্লারের ওই তরুণী কর্মীকে নিখোঁজের অভিযোগে ইতিমধ্যে সংস্থার মালিক পরিমল সরকার সহ ৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন। পরিমলবাবু নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও তদন্তকারীদের দাবি, প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।