প্রতীকী ছবি
এক গৃহবধূ ও তাঁর দুই বছরের পুত্রসন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তার আগে ওই গৃহবধূর পুত্রসন্তানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম কবিতাদেবী দাস (২২)। তাঁর ছেলের নাম জয়জিৎ কুমার দাস। বাড়ি বিহারের বারসই থানার মীরপোখরে। কবিতার ন’মাসের কন্যাসন্তান জয়াকে ওই দিন রাতে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিষক্রিয়ায় কবিতা ও জয়জিতের মৃত্যু হয়েছে। একই কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে জয়া। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের মর্গে ওই তরুণী ও তাঁর পুত্রসন্তানের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
পুলিশের সন্দেহ, পারিবারিক বা মানসিক কোনও কারণে কবিতা তাঁর ছেলেমেয়েকে কীটনাশক খাওয়ানোর পরে নিজেও কীটনাশক খান।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, “দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন বছর আগে করণদিঘির টুঙ্গিদিঘি লাগোয়া বিহারের বলরামপুর থানার বিশ্বদিঘির বাসিন্দা কবিতার সঙ্গে মীরপোখরের বাসিন্দা ভূমেশ্বর কুমার দাসের বিয়ে হয়। লতিফুর হাট এলাকায় ভূমেশ্বরের চা ও মিষ্টির দোকান রয়েছে। বুধবার দুপুরে প্রতিবেশিরা কবিতাকে অসুস্থ অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। কিছুটা দূরে জয়জিৎ ও জয়া অসুস্থ অবস্থায় ছটফট করছিল। পরিবারের লোকেরা প্রথমে তাঁদের করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তিন জনকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়।
ভূমেশ্বরের দাবি, কবিতার সঙ্গে তাঁর বাড়ির লোকেদের কোনও গোলমাল ছিল না। কবিতা জমিতে গিয়ে জয়জিৎ ও জয়াকে কীটনাশক মেশানো দুধ খাইয়ে নিজেও কীটনাশক খান। তিনি বলেন, “কবিতা কী কারণে এমন করল বুঝতে পারছি না।” কবিতার ভাই জগদীশকুমার দাস বলেন, “পুলিশকে তদন্ত করে রহস্যের কিনারা করার দাবি জানিয়েছি।”