ফাইল চিত্র
বিভিন্ন কারণে যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে, সেই সময়ে হঠাৎই উত্তরবঙ্গে দলের সাত সাংসদ এবং আট জেলা সভাপতিকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল বিজেপি। জরুরি তলব পাঠিয়ে বিজেপি নেতাদের জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই সাংসদ-নেতাদের দিল্লিতে অমিত শাহের মুখোমুখি বসতে হবে। বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অরবিন্দ মেনন থাকতে পারেন। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের যুগ্ম জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিব প্রকাশও বৈঠকে থাকতে পারেন। এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে জানাতে নেতাদের দিল্লিতে ডাক পড়েছে। সে সব ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে তথ্য নিয়ে যেতে হবে, তা আগে থেকে জানিয়ে দিতে বলা হত। এ বারে সে সব কিছু জানানো হয়নি, কোনও তথ্যও চাওয়া হয়নি। শুধু নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, ট্রেনে বা বিমানে যে ভাবেই হোক, আগামী ২৩ জুলাইয়ের আগে দিল্লিতে পৌঁছতে হবে। বিজেপি সূত্রে খবর, শুধু উত্তরবঙ্গের নেতাদের ডাকা হয়েছে, অর্থাৎ উত্তরবঙ্গ নিয়েই নির্দেশ দেওয়া হবে বলে মনে করছেন দলের নেতারা।
গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে মালদহ দক্ষিণ বাদে বাকি সব ক’টি আসনই জিতেছে বিজেপি। কোচবিহার থেকে মালদহ মিলিয়ে বিধানসভা আসন রয়েছে ৫৪টি, যা আগামী বিধানসভা ভোটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কাজেই উত্তরবঙ্গে দলের বিশেষ গুরুত্ব এবং নজর থাকবে, তা স্বাভাবিক বলেই বিজেপি নেতাদের দাবি। যদিও এ ভাবে তলব কেন, তা নিয়ে দলে নানা মতামত রয়েছে। দলের একাংশের বক্তব্য, গত কয়েক দিনে হেমতাবাদে দলের বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যু থেকে চোপড়ায় দলের এক নেতার আত্মীয়া অস্বাভাবিক মৃত্যু, দুই নিয়ে এর মধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছে বিজেপি। তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ তুলেছে, লাশের রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। এই নিয়ে হয়তো দীর্ঘ ও বৃহত্তর আন্দোলনের দিশা দেখাতে পারেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। অমিত শাহ নিজেও কোনও দিশা দেখাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দলের আরেকটি অংশের দাবি, টানা আন্দোলন চালানোর নির্দেশ রাজ্য নেতৃত্ব থেকেও দেওয়া যেতে পারত। দিল্লিতে ডাকার অন্য অর্থ রয়েছে। উত্তরবঙ্গে দলের সাতজন সাংসদ থাকলেও সকলকে সমানভাবে মাঠে-ময়দানে দেখা যাচ্ছে না বলে সঙ্ঘ পরিবারের একাংশের দাবি। সে নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। বৈঠক ডেকেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর অর্থ, উত্তরবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও জানতে চাওয়া হতে পারে।