শিশুপুত্র খুনের নালিশে ধৃত মা, প্রেমিক

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম জ্যোৎস্না বেগম ও মতিউর রহমান। দু’জনের বাড়িই ভগবানপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার বাড়ির উঠোন থেকে পাঁচ বছরের মোতাব্বের আলম নিখোঁজ হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডালখোলা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪০
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পাঁচ বছরের শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে মা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার ভগবানপুরে। এ দিন ধৃতদের ইসলামপুর আদালতে পেশ করা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম জ্যোৎস্না বেগম ও মতিউর রহমান। দু’জনের বাড়িই ভগবানপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার বাড়ির উঠোন থেকে পাঁচ বছরের মোতাব্বের আলম নিখোঁজ হয়ে যায়। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে জ্যোৎস্নাই। সোমবার বাড়ির কাছে একটি জলাশয়ে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, জ্যোৎস্নার সঙ্গে ভগবানপুরের বাসিন্দা আনোয়ার আলমের ছ’বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে। মোতাব্বের দ্বিতীয় সন্তান। মতিউর জ্যোৎস্নারই আত্মীয়। সে-ও বিবাহিত। স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে।

Advertisement

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ছিল পুলিশের। জ্যোৎস্নার স্বামী আনোয়ার ভিন্‌ রাজ্যে কাজ করেন। তদন্তকারীদের অনুমান, মতিউরের সঙ্গে জ্যোৎস্নার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল মোতাব্বের। তার জেরে মতিউরের সঙ্গে জ্যোৎস্নার সম্পর্কে টানাপড়েনও শুরু হয়। পুলিশের জেরায় জ্যোৎস্না জানিয়েছেন, মোতাব্বেরকে খুন করার হুমকি দিত মতিউর। তদন্তকারীদের দাবি, ওই সম্পর্কের কথা বাবাকে বলে দেওয়ার কথাও জানিয়েছিল মোতাব্বের। বেগতিক দেখে মতিউরকে তা জানায় জ্যোৎস্না।

তবে পুলিশের কাছে জ্যোৎস্না জানিয়েছে, হুমকি দিলেও মতিউর যে তার শিশুপুত্রকে সত্যিই খুন করবে, তা সে বুঝতে পারেনি। তবে তদন্তকারীদের দাবি, খুনের পরিকল্পনায় শামিল ছিল জ্যোৎস্নাও। সব জেনেও ঘটনাটিকে বারবার অন্য দিকে মোড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল জ্যোৎস্না। এতে সন্দেহ আরও বাড়ে পুলিশের। এর পরেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মায়ের সঙ্গেই ছিল মোতাব্বের। তার পর থেকেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায়। কিন্ত সে কথা পরিবারের লোকেদের জানানো হয় রাতে। ঘটনার তিন দিন পরে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি জলাশয়ে শিশুটির দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement