কথা বলতে বলতে কখনও ফোন কেটে যাচ্ছে৷ কখনও আবার যাকে প্রয়োজন তার ফোনে চেষ্টা করেও লাইন পাওয়া যাচ্ছে না৷ কখনও দরকারি একটা কথা বলার জন্য একবারে জায়গায় পাঁচবার ফোন করতে হচ্ছে৷
সম্প্রতি মোবাইল ফোন নিয়ে এ ভাবেই নাজেহাল হচ্ছেন জলপাইগুড়ির মানুষ৷ নামি-দামি বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ফোনেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বার এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হল খোদ প্রশাসন৷ সম্প্রতি বিএসএনএল সহ কয়েকটি নামি মোবাইল সংস্থার কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রশাসনের কর্তারা৷ এ ধরণের সমস্যা মেটাতে অবিলম্বে সংস্থাগুলিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর৷
জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা অসীম সরকার বলেন, ‘‘কিছুদিন আগেও মোবাইল ফোন নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না৷ কিন্তু এখন দেখছি, বাড়িতে থাকলে মোবাইল ফোনের টাওয়ারই থাকছে না৷ কাউকে ফোন করতে হলে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে করতে হচ্ছে৷ বাড়িতে থাকাকালীন কেউ আমাকে ফোন করেও পাচ্ছেন না৷’’ জলপাইগুড়ির আরেক বাসিন্দা স্বপন দাস বলেন , ‘‘কোনও দরকারে কাউকে ফোন করতে হলে তিন-চারবার ফোন করতে হচ্ছে। কখনও ও পাশে যিনি থাকছেন তিনি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন না, তো কখনও আমি তার কথা শুনতে পাচ্ছি না৷’’
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারাও৷ জলপাইগুড়ির মহকুমা শাসক সিরাজ দানেসিয়ার বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে মোবাইলে নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে৷ সে জন্যই দু’দিন আগে আমরা কয়েকটি সংস্থার কর্তাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম৷ তাদের কাছ থেকে যেটুকু জানতে পেরেছি, কখনও কখনও জলপাইগুড়িতে টাওয়ারের তুলনায় মোবাইল ফোন ব্যবহার বেশি হওয়ার জন্য, তো কখনও আবার অপটিক ফাইবার লাইন কেটে যাওয়ায় বা অন্য কোনও প্রযুক্তিগত কারণে সমস্যা হচ্ছে৷ কী করে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে প্রতি এক-দু’মাস অন্তর অন্তর মোবাইল সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা৷ পরবর্তীতে ব্লক স্তরেও এই বৈঠক হবে৷ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘মোবাইলের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে উন্নত মানের থাকে সে জন্যই এই পদক্ষেপ৷’’