উড়ো চিঠি এ বার অশোক, শঙ্করকেও

সোমবার দুই বিধায়ক শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, তাঁদেরও উড়ো চিঠি পাঠিয়ে ৫ লক্ষ টাকা করে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:১৫
Share:

অশোক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং বিজেপির প্রবীণ অগ্রবালের পরে এ বার শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক কংগ্রেস শঙ্কর মালাকার।

Advertisement

সোমবার দুই বিধায়ক শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, তাঁদেরও উড়ো চিঠি পাঠিয়ে ৫ লক্ষ টাকা করে দাবি করা হয়েছে। দাবি মতো টাকা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে না দিলে প্রাণে মেরে ফেলা বা পরিবারের কাউকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাম-কংগ্রেস দুই বিধায়কের বাড়ির ঠিকানায় কমলা রঙের খামে ওই উড়ো চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত শনিবার একই ভাবে বাড়িতে ডাকঘরের মাধ্যমে পাঠানো উড়ো চিঠি পেয়েছিলেন রুদ্রবাবু ও বিজেপির জেলা সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিটি চিঠিই একই ভাবে কাছারি রোজের প্রধান ডাকঘর থেকে পাঠানো হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চিঠিতে সুরেন্দ্রকুমার বলে একটি নাম উল্লেখ করা ছিল।

Advertisement

পুলিশ জানতে পেরেছে, অ্যাকাউন্ট দু’টি চম্পাসারির এক মাছ ব্যবসায়ীর। এ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তিনি পুলিশের সামনে ভেঙে পড়েন। পাল্টা তিনি পুলিশকে অভিযোগ করেন, তাঁকে সমাজে বদনাম করে পুলিশি মামলায় ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে ওই ব্যক্তি জড়িত নন বলেই মনে হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে
বলে জানিয়েছেন।

গত রবিবার সুভাষপল্লির বাড়িতে ওই চিঠি পেয়েছেন মেয়র অশোকবাবু। তিনি জানান, ‘‘একেবারেই ফালতু চিঠি। কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এ সব করছে। পুলিশকে জানিয়েছি।’’ সোমবার সকালে বাবুরপাড়ার বাড়িতে চিঠি পান বিধায়ক শঙ্কর মালাকারও। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন নানা চিঠিপত্র আসে। আমি ছাড়াও দফতরের এক কর্মী সেগুলি দেখেন। তিনিই চিঠিটি আমাকে দেন। আমার কাছে এই চিঠির কোনও গুরুত্ব নেই। পুলিশকে অবশ্য জানিয়েছে।’’

শনিবার শহরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রবাবু প্রথম প্রধানগরের বাড়িতে চিঠিটি পেয়েছিলেন। খুন এবং পরিবারের কাউকে অপহরণ করার হুমকির জেরে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সন্ধ্যায় একই চিঠি পান বিজেপির জেলা সভাপতি। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, পুরোটাই ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ করছে। কিন্তু যে ভাষায় চিঠি লেখা হয়েছে, তা আইনের চোখে অপরাধ। খুন, অপহরণ এবং তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র ধরে চিঠি প্রেরকের সন্ধান চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement