ফাইল চিত্র।
ব্যক্তিগত ভাবে তিনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। তিনি যখন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান হলেন, তখন থেকেই আমার সঙ্গে পরিচয়। পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন শিলিগুড়ি তৎকালীন কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নন্দী।
মেয়র হওয়ার পর রাষ্ট্রপতিভবনে স্ত্রীকে নিয়ে গেলাম দেখা করতে। তখন ওঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন। ওই অবস্থাতেও প্রচুর আদরযত্ন করলেন। যখন মন্ত্রী ছিলাম, তখন দিল্লি গেলে ওঁর সঙ্গে দেখা করতাম। তিনি যখন অর্থমন্ত্রী হন, আমাদের রাজ্যের অনেক প্রকল্প অর্থ মন্ত্রকের মাধ্যমে পাশ করাতে সাহায্য করেছেন। কলকাতায় মেগাসিটি প্রকল্প ওঁর চিন্তা প্রসূত। দিল্লিতে গেলে তিনি আমাকে রাত ১১টায় সময় দিতেন। তাঁর বাড়ি গিয়ে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কথা হত। প্রকল্প, রাজনীতি, ব্যক্তিগত কথা। পরে অনেক কংগ্রেস নেতাকে বলতে শুনেছি, তিনি নাকি তাঁদের থেকে আমাকে বেশি সময় দেন। শিলিগুড়ির অনেক প্রকল্পের কাজে তাঁর অবদান রয়েছে। আমি জানতে পেরেছিলাম যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর হাতে কয়েকশো কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ থাকত। তাই শিলিগুড়িতে এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করি। আমি তখন মন্ত্রী। এরপর তিনি দিল্লিতে প্রকল্প তৈরি করে আসতে বলেন।
উত্তরবঙ্গের জন্য উপুড় হস্ত • বাগডোগরা আধুনিকীকরণে বিভিন্ন সময় বায়ুসেনার ছাড়পত্র দিয়েছিলেন • কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে রায়গঞ্জে এমস ধাঁচে হাসপাতালের অনুমোদন • ফুলবাড়ি বাণিজ্যপথ খোলার ব্যবস্থা করেছিলেন • শিলিগুড়িতে বাইপাস, দু’টি মহানন্দা সেতুতে বরাদ্দ • কোচবিহার ক্যানসার সেন্টারের আধুনিক যন্ত্রপাতির বরাদ্দ • এনজেপি-তে ড্রাইপোর্ট, ফুড পার্ক, টি পার্ক, আনারস পার্ক, ফুলবাড়ি ট্রাক টার্মিনাল প্রকল্পের তহবিল • বালুরঘাটে প্রাচ্যভারতী প্রতিষ্ঠানে এসে স্কুলের উন্নয়নে সহায়তার উদ্যোগ • মালদহে রাষ্ট্রীয়, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখা স্থাপনে উদ্যোগ • ফরাক্কায় এনটিপিসি স্থাপনে বিশেষ উদ্যোগ • গনি খান নামাঙ্কিত প্রযুক্তি কলেজের উদ্বোধন • নতুন চা গাছের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল
(শিলিগুড়ির বিধায়ক ও প্রশাসক)