লুঠপাট, সরকারি কর্মীর চোখে ছুরির আঘাত

কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় মোটরবাইক-সহ টাকা পয়সা লুঠ করার পর বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক কর্মীকে ছুরি মেরে রাস্তায় ফেলে পালাল দুষ্কৃতীরা। মালদহের পুখুরিয়া থানার লস্করপুরে সামসি-গাজল ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর শনিবার রাতের ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে সামসি ও পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ০২:২৩
Share:

চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আনিসুরের।—নিজস্ব চিত্র

কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় মোটরবাইক-সহ টাকা পয়সা লুঠ করার পর বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক কর্মীকে ছুরি মেরে রাস্তায় ফেলে পালাল দুষ্কৃতীরা। মালদহের পুখুরিয়া থানার লস্করপুরে সামসি-গাজল ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর শনিবার রাতের ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে সামসি ও পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

রবিবার সকালে তাঁকে ফের মালদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান পরিজনেরা। প্রহৃত ওই কর্মীর নাম আনিসুর রহমান। একাধিক ছুরির আঘাতের পাশাপাশি লোহার রডের আঘাত রয়েছে আনিসুরের কপালে। আঘাতের ফলে তাঁর বাম চোখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। লুঠপাটে বাধা দেওয়ায় বা দুষ্কৃতীদের চিনতে পারায় তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের।

চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনিসুর রহমানের বাড়ি রতুয়ার চাতোরে। রাত দশটার পরে ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার সময় লস্করপুর এলাকায় এক ফাঁকা জায়গায় মুখ কাপড়ে ঢেকে তিন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। গুলি করার ভয় দেখিয়ে তাঁর মোটরবাইক থামানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর আহত আনিসুরের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন তাঁর এক সহকর্মী।

গত ২৫ এপ্রিল চাঁচলের সুরতপুরে ভরদুপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের ম্যানেজারকে মারধর করে তিন লক্ষ টাকা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর সঙ্গী শিক্ষিকার পায়েও দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গত রবিবার রাতে কালীপুজো সেরে বাড়ি ফেরার সময় সামসি কলেজের অদূরে এক রেশন ডিলারকে মারধর করে বাইক ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

এক মাসের ব্যবধানে তিনটি লুঠপাটের ঘটনার পাশাপাশি দুষ্কৃতীরা অধরা থাকায় ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত এলাকার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাসিন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement