Sikkim Flood

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, গজলডোবায় বৈঠক সেরে দাবি করলেন সেচমন্ত্রী পার্থ, জল নামলেই শুরু কাজ

রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বৃহস্পতিবার সকালে বাগডোগরায় বিমান থেকে নেমে সোজা চলে যান গজলডোবায়। সেখানে তিনি সেচ দফতরের আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

গজলডোবা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৮
Share:

গজলডোবায় সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। — নিজস্ব চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকায় চলে এসেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি গজলডোবায় সেচ দফতরের আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তবে পার্থ জানিয়েছেন, তিস্তার তাণ্ডবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে জল নেমে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জল নামলেই শুরু হবে কাজ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন পার্থ। সঙ্গে ছিলেন সেচ সচিব এবং উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলের বিধায়ক গুলাম রব্বানি, সাবিনা ইয়াসমিনরা। বিমানবন্দর থেকে সোজা গজলডোবার উদ্দেশে রওনা দেন সেচমন্ত্রী। গজলডোবার হাওয়া মহলে পার্থ, রব্বানি এবং সাবিনা বৈঠকে বসেন সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে। বৈঠক শেষে সেচমন্ত্রী দাবি করেন, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। বৈঠক শেষে গজলডোবা এবং আশপাশের অঞ্চল পরিদর্শন করেন তিনি।

সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলাম। মূলত কথা বললাম, টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে। কী অবস্থা রয়েছে, আমরা কী কী করতে পারি, সেই বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে জেনে নিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে আমি এ টুকু আশ্বস্ত করতে পারি, যে বিপর্যয় এসেছিল তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। নতুন করে বিরাট ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে জানতে পেরেছি। যত ক্ষণ না জল নামছে, তত ক্ষণ ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ বোঝা যাবে না। বেশ কয়েকটি জায়গায় তিস্তার পার ভেঙেছে, আবার অনেক জায়গায় জল উপচে পড়ছে। আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত। জল নামলেই কাজ শুরু হবে।’’

Advertisement

বুধবার ভোর হওয়ার আগেই উত্তর সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান আসে। বিপুল পরিমাণ জল তিস্তার খাত ধরে নীচে নেমে আসতে থাকে। এতে সিকিমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাতারাতি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা উত্তরবঙ্গে। আশঙ্কা তৈরি হয় সমতলে তিস্তার গতিপথের আশপাশের পরিস্থিতি নিয়ে। বিপুল জলরাশিকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে গজলডোবা ব্যারাজেরও। এ ছাড়াও আর কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে তা জানার পরিস্থিতি নেই। বিভিন্ন জায়গায় জল এখনও নামেনি। ফলে জল নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকা ছাড়া কার্যত কোনও উপায় নেই প্রশাসনের কাছে। এই পরিস্থিতিতে সমতলের জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে প্রায় ৩০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement