অমিত শাহর সঙ্গে মিহির গোস্বামী। ফাইল চিত্র।
অমিত শাহের সভা যে রাসমেলার মাঠে হচ্ছে, সেটা মিহির গোস্বামীর কেন্দ্রের ভিতরে। অথচ শাহের সভামঞ্চে দেখা গেল না কোচবিহার দক্ষিণে বিধায়ককে। সেই নিয়ে দিনভর চলল চর্চা। শেষে মদনমোহন মন্দিরে দু’জনের সাক্ষাতে ‘মান ভাঙে’ বিধায়কের। তিনি নিজের এবং অমিত শাহের ছবি-সহ পোস্টও দেন সামাজিক মাধ্যমে।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া তিনিই প্রথম বলে দাবি করেন মিহির।
শুভেন্দু অধিকারী বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবদলের পরে সেই কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, বিজেপিতে এসে এ বারে মর্যাদা পাবেন তাঁরাও। এ দিন কিন্তু সেই মিহিরবাবুকে রাসমেলা ময়দানের মঞ্চের ধারেকাছে দেখা যায়নি। ফলে কানাঘুষো শুরু হয়, এ-ও কি নব্য ও আদি বিজেপির দ্বন্দ্বের প্রকাশ?
মঞ্চে হাজির ছিলেন বিজেপির কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অমিত শাহ মদনমোহন মন্দিরে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে মিহিরের দেখা হয়।
তার পরেই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মিহির। তিনি সেখানে বলেন, ‘‘দলের তরফে মদনমোহন মন্দিরে পুজোর সমস্ত ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ছিল আমার উপর। অমিত শাহজিকে অভ্যর্থনার দায়িত্বও ছিল। তিনি ১১টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরে নেমে সোজা মদনমোহন মন্দিরে আসবেন বলে ঠিক ছিল। তাঁর পৌঁছতে এক ঘণ্টা দেরি হয়। তাই তিনি প্রথমেই মঞ্চে যান। যখন ওই খবর পাই, তখন ভিড় ঠেলে সেখানে যাওয়া সম্ভব ছিল না।” সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “এ ব্যাপারে কোনও খবর ছড়িয়ে থাকলে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
মিহির ঘনিষ্ঠরা তাঁকে সভার ধারেকাছে না দেখে মিহিরের অভিমান নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তবে বিধায়ক পরে জানিয়ে দেন, ক্ষোভ বা রাগ কিছুই নেই তাঁর।
একই রকম ভাবে প্রশ্ন ওঠে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার ক্ষেত্রেও। বার্লা অবশ্য এ দিন মঞ্চে ছিলেন। তবে অমিত শাহ বক্তৃতায় একবারও তাঁর নাম উল্লেখ করেননি বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। বার্লা অবশ্য বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যে তালিকা ছিল, তাতে আমার নামও ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে দুই-তিন জনের নাম উল্লেখ করেই ভাষণ শুরু করে দেন তিনি।’’
এ দিন সভায় মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ও প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে উপস্থিত ছিলেন। তবে অমিতের সভায় দলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা-সহ দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের কাউকে দেখা যায়নি। গঙ্গাপ্রসাদ জানান, আলিপুরদুয়ারের রথযাত্রা ও শুভেন্দু অধিকারীর সভার প্রস্তুতি নিয়ে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন।