দুর্ঘটনায় হাত কেটে যাওয়া এক পিকআপ ভ্যান চালকের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, রবিবার ভোরে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম বলরাম শীলকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় জরুরি বিভাগে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। পরে ভর্তি নেওয়া হলেও পরদিন দুপুর পর্যন্ত কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁকে দেখেননি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে হাতের কাটা অংশে শুধু ব্যান্ডেজ করে ফেলে রাখায় তাতে সংক্রমণ ঘটেছে। কেন সঠিক ভাবে রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিবারের লোকজন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই সময় সুপারের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।’’ তবে জরুরি বিভাগে সব সময়ই চিকিৎসক থাকেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
জানা গিয়েছে, বলরামের বাড়ি কোচবিহারের মাথাভাঙায়। শনিবার ইটাহার থেকে গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন ওই তরুণ। বেলা ১২ টা নাগাদ রায়গঞ্জের কাছে দুর্গাবাড়ি এলাকায় একটি ট্রাক্টর ধাক্কা মারে পিকআপ ভ্যানটিকে। দুর্ঘটনায় বলরামের ডানহাত কনুইয়ের নিচ থেকে কেটে পড়ে যায়। ওই অবস্থায় চালক গাড়ি রাস্তার উপর রেখে রিকশা নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে পৌঁছোন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। খবর পেয়ে গাড়ির মালিক জনি সাহা লোক পাঠান। তাঁরা পর দিন ভোর রাতে বলরামকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কোনও চিকিৎসক ছিল না বলে অভিযোগ।
বলরাম যে পিকআপ ভ্যান চালাতেন তার মালিক জনি সাহা বলেন, ‘‘অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পর জুনিয়র ডাক্তাররা দেখে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। সেই থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীকে দেখতে যাননি। এ দিন সকালে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন ডানহাতের কাটা অংশে শুধু ব্যান্ডেজ করে রাখায় তাতে সংক্রমণ ঘটেছে।’’
সম্প্রতি এক দুর্ঘটনায় খড়িবাড়ির এক পিকআপ ভ্যান চালকের ডান হাত একই ভাবে কেটে শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। ঘন্টা দুয়েক মঘ্যে ওই চালক সুকুমার বর্মনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁরও চিকিৎসা ঠিক মতো করা হয়নি বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখায় তাঁর হাতের কাটা অংশ জোড়া দেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।