হলং বাংলোতে বিধ্বংসী আগুন। —নিজস্ব চিত্র।
আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বাংলোতে আগুন। আটটি ঘর পুড়ে ছাই। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড।
জলদাপাড়া ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের ডিএফও পারভিন কাসওয়াঁ বলেন, ‘‘রাত ৯টা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা নজরে আসে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মীরা জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এই আগুন থেকেই বাংলোতে থাকা একটি এসিতে বিস্ফোরণ হয়। আমাদের বনকর্মীরা নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাঠের বাংলোর আগুন তাঁদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “হাসিমারা এবং ফালাকাটায় দমকলকে খবর দেওয়া হয়। জঙ্গলের ভিতরে গাড়ি নিয়ে দমকলকর্মীরা ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ পৌঁছন। তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অন্য আধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।’’ জাতীয় উদ্যান বন্ধ থাকায় বাংলোতে কোনও পর্যটক ছিলেন না বলে জানান তিনি।
বন দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মঙ্গলবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ আগুন ধরে যায় ঐতিহাসিক ওই বনবাংলোটিতে। কাঠের ঘর অল্প সময়ে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। বনকর্মীদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কাঠের তৈরি গোটা বাংলোটিই ভস্মীভূত হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালে তৈরি এই বনবাংলোটি রাজ্য বন দফতরের অন্যতম মহার্ঘ সম্পত্তি ছিল। যদিও ডিএফও জানিয়েছেন, বুধবার সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যাবে।
জলদাপাড়ার জঙ্গল ঘেরা বন দফতরের এই সুদৃশ্য বনবাংলোর কদর ছিল রাজ্যের ভিভিআইপি থেকে আমলা বা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জ্যোতি বসু নিয়মিত আসতেন এই বাংলোয়। কয়েক বছর আগে বাংলোটি সংস্কারও করা হয়েছিল। বন দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১০ সালের জুন মাসে এমনই এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গিয়েছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত জয়ন্তী বনবাংলো।