Fire

শিলিগুড়িতে গুঁড়ো সাবান তৈরির কারখানায় আগুন, কাজ করছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন

সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কারখানার কাজ সেরে কর্মীরা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই গুদাম থেকে আগুনের শিখা দেখতে পান। প্রথমে নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তার পর আসে দমকল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৪১
Share:

কারখানায় আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। — নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়ির আমাইদিঘি এলাকায় গুঁড়ো সাবান তৈরির কারখানায় ভয়াবহ আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডাবগ্রাম ও শিলিগুড়ি দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ৩ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কারখানার কর্মীরা কাজ সেরে বেরোনোর সময় কারখানার গুদাম থেকে ধোঁয়া দেখতে পান। প্রথমে কারখানার অগ্নিনির্বাপণ ব্যাবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন কর্মীরা। কিন্তু তাতে খুব একটা সুবিধা হয়নি। খবর যায় দমকলে। ডাবগ্রাম ও শিলিগুড়ি অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র থেকে প্রথমে দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন আয়ত্তে আনবার চেষ্টা করে। এই মুহূর্তে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার কাজ চালাচ্ছে। কারখানার কর্মী রমণী বর্মণ বলেন, ‘‘প্রথমে বিকেল পাঁচটার দিকে গুদামে এক বার আগুন লাগে। আমরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ফের সন্ধ্যা নাগাদ দেখি গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে৷ আমরা আবার আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি৷ আগুন মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ রূপ নেয়।’’

জানা গিয়েছে, গুঁড়ো সাবানের প্যাকেটের ভেতর যে পুরষ্কারের কুপন থাকে সেই কম্বল জাতীয় পুরষ্কার যে ঘরে মজুত করে রাখা হয় সেই ঘরেই আগুন লাগে। ওই কারখানার একটি জায়গায় জমা করা হয় রাসায়নিক। আশেপাশেও কারখানায় মজুত আছে বহু দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন আয়ত্বে আনা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement