হড়পা বানে ভেসে যাওয়ার মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় বিপর্যয়। হঠাত্ জলস্তর বেড়ে গিয়ে বড়সড় বিপত্তি জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারে। মাল নদীতে হড়পা বানে ভেসে গেলেন ঠাকুর ভাসান দিতে আসা বহু মানুষ। ওই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে নিখোঁজ। মাঝ নদীতে চড়ায় আটকে রয়েছে বহু মানুষ।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী এবং পুলিশ। আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে। প্রশাসনের উদ্যোগে জেসিবি নামিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আচমকা পাহাড় থেকে জল নেমে এসে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, অন্তত ২০-২৫ জন নিখোঁজ।
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অল্পবয়সি এবং প্রাপ্ত বয়স্করা রয়েছেন। ভাসানের সময় বহু মানুষ নদীর চড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে কতজন ভেসে গিয়েছেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। ১১ জলকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হড়পা বান নেমেছিল। তার জেরে কয়েক জন ভেসে যান। তাঁদের মধ্যে সাত জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কয়েক জন নদীর মাঝে একটা চরে আশ্রয় নেন। যাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁদের সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নদীতে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। নদীর ধার খালি করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজে রয়েছে, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী।’’
প্রশাসনের একটি সূত্রের বক্তব্য, হড়পা বানে ভেসে গিয়ে বহু মানুষ সমতলের দিকে চলে গিয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে স্পিড বোট নামানোর কথা ভাবা হয়েছে।