স্বাগত: বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছেন দার্জিলিঙের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
শুধু স্কুলের উদ্বোধন অনুষ্ঠান নয়, ৩৩ কোর সেনা বাহিনীর বিভিন্ন বিষয় জানাও তাঁর এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। সে কারণে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া একাধিক সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবরও করলেন।
রবিবার দার্জিলিঙে একটি স্কুল সংস্কারের পর সেটার নতুন রূপে উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে অধিকাংশ সময়ই তিনি সেনা বাহিনীর কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকলেন। ফিরে যাওয়ার সময় নিজেই জানিয়েছেন সেই কথা।
পাহাড়ে পর পর মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে চাপে রয়েছে মোর্চা। সে ক্ষেত্রে পাহাড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁদের একাংশ। মোর্চার তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে এ দিন গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। যদিও পৃথক রাজ্যের দাবির বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
বিষয় বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মোর্চার দাবির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে রাজনাথ সিংহকে বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন। রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিষয়টি মেটাতে পারে বলে তিনিন জানান।
যদিও তাঁর সফরের রাজনৈতিক গুরুত্বের বিষয়টি আমল দিতে চাননি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষা বিষয়টি আমার প্রিয়। সে কারণেই এসেছি।
এই জায়গা ৩৩ কোর সেনা বাহিনীর অধীনে। দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার। এখানে চিকেন নেক
রয়েছে। রয়েছে চুঙ্গিভ্যালির মতো এলাকা। ৩৩ কোর বাহিনীকে নজরদারি করতে হয় নেপাল, চিন, ভূটান, বাংলাদেশ সীমান্ত। ছোট্ট জায়গা অথচ এতগুলি সীমান্ত। সে কারণে দেশের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এই এলাকা গুরুত্বপূর্ণ বলে কী মনে করব না?’’
তিনি নিজেই জানিয়েছেন, স্কুলের অনুষ্ঠানে ঘন্টা খানেক সময় ছিলেন। শনিবার বিকেলে আসার পর থেকে বেশিরভাগ সময় সেনা বাহিনীর কম্যান্ডারদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। রাতে সুকনায় সেনা ঘাঁটিতেই ছিলেন। এখানকার পরিস্থিতি নিযে তথ্য
সংগ্রহ করেছেন। ভোরে দার্জিলিং গেলে সেখানেও ৩৩ কোরের কম্যান্ডদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছেন অনেক্ষণ।
ভারত-চিন নাথু লা সীমান্তের কিছু সমস্যা নিয়েও তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে প্রতিরক্ষার সঙ্গে বিষয়টি যুক্ত থাকায় খোলসা করে বলতে চাননি। কেবল জানান, জমি সমস্যা কিছু রয়েছে। তা নিয়ে সিকিম এবং এই রাজ্যের সঙ্গে তিনি আলাদা করে কথা বলবেন। রাজ্য সরকার পুরনো সিল্করুট
খোলার ব্যাপারে উৎসাহ দেখালেও বিষয়টি নিয়ে তিনি ওয়াকিবহাল নন বলে জানান।