ধর্ষণে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে অনশন

একের পর এক ধর্ষণে ঘটনায় ক্ষুব্ধ এক যুবক অনশনে বসে ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদন্ডের আইন পাশের দাবি তুললেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ কোচবিহার জেলাশাসকের দফতরের সামনে আমৃত্যু অনশনে বসেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১৮
Share:

প্রতিবাদ: ধর্ষকের শাস্তি চেয়ে কোচবিহার জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনশনে যুবক।

একের পর এক ধর্ষণে ঘটনায় ক্ষুব্ধ এক যুবক অনশনে বসে ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদন্ডের আইন পাশের দাবি তুললেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ কোচবিহার জেলাশাসকের দফতরের সামনে আমৃত্যু অনশনে বসেন তিনি। প্রশাসনের তরফ থেকে ওই যুবকের অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হলেও তিনি তা মানতে চাননি।

Advertisement

ওই যুবকের নাম রানা তালুকদার। তাঁর বাড়ি জেলার বাণেশ্বরের ইছামারি গ্রামে। তিনি বলেন, “একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা আর মেনে নিতে পাচ্ছি না। ধর্ষণমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে হবে। এ জন্যে যে কোনও বয়সের মেয়ে বা মহিলাদের ধর্ষণের অপরাধীকে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব।”

এ দিন ওই যুবকের পাশে দাঁড়ান প্রচুর মানুষ। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে রাজা বৈদ্য সেখানে যান। তিনি বলেন, “ওঁর দাবির সঙ্গে আমরা একমত। বয়স হিসেবে কোনও শাস্তি হতে পারে না। আমরা পাশে আছি।”

Advertisement

গত কিছুদিন ধরে একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। কোচবিহারেও তার আঁচ এসে পড়ে। সেই ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই জেলার সুটকাবাড়িতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। এর পরে একে একে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে পথে নামেন হাজার বাসিন্দা। কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার সর্বত্র মিছিল মোমবাতি মিছিল হয়। নানা ভাবে প্রতিবাদ সংগঠিত হয়। স্কুলের ছাত্রছজাত্রীরাও রাস্তায় নেমে ওই প্রতিবাদে সামিল হন। সে সব দেখেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন ইছামারি গ্রামের ওই যুবক। তখনই প্রতিবাদে সামিল হওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি।

জানা গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার বাড়ির নানা কাজকর্মের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছিল রানার। কৃষক পরিবারের ওই ছেলে বলেন, “দেশ জুড়ে এমন ঘটনা ঘটছে। অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে তা হয় না। আইন পাশ না হওয়া পর্যন্ত আমি জল গ্রহণ করব না।”

সকাল ১১টা নাগাদ একটি ফেস্টুন টাঙিয়ে ঘাসের উপরে বসে পড়েন তিনি। ফেস্টুনে তাঁর নাম, ঠিকানা, ভোটার পরিচয় পত্রের নম্বর সব উল্লেখ করা হয়েছে। পরে তাঁর জন্য একটি বড় ছাতার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে জড়ো হওয়া বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, “ধর্ষণের মতো অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement