বিবাদে বন্ধুকে গুলি করার অভিযোগ

পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ যুবক, সন্তোষ মণ্ডল বালি, পাথরের ব্যবসা করেন। তিনি বৈষ্ণবনগর থানার বিননগর ১ পঞ্চায়েতের রামনাথটোলা গ্রামের বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বৈষ্ণবনগর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০৪:১৮
Share:

তদন্ত: গুলিবিদ্ধ যুবকের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ কর্তা। মঙ্গলবার। ছবি: অভিজিৎ সাহা

ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদ। আর তার জেরেই বন্ধুকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ১৭ মাইল এলাকায়। পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র সমেত অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ যুবক, সন্তোষ মণ্ডল বালি, পাথরের ব্যবসা করেন। তিনি বৈষ্ণবনগর থানার বিননগর ১ পঞ্চায়েতের রামনাথটোলা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ওই গ্রামেরই সনাতন মণ্ডল নামে আরেক বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সেভেন এমএম পিস্তল। আজ, বুধবার, ধৃতকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই গোলমাল হয়েছে বলেই প্রাথমিক ধারণা। গুলিবিদ্ধ যুবক মালদহের এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’’

সন্তোষের পরিবার সূত্রে খবর, সন্তোষ ও সনাতন একসঙ্গেই বালি, পাথরের ব্যবসা করতেন। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি হিসেবে গরমিল করায় সনাতনকে ছাড়া একাই ব্যবসা করছিলেন সন্তোষ। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন সনাতন। এ দিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বার হন সন্তোষ। তখনই সনাতন তাঁর পথ আটকান বলে খবর। অভিযোগ, এরপরেই সন্তোষের উপরে গুলি চালানো হয়, আর গুলি লাগে সন্তোষের চোয়ালে।

Advertisement

সাত সকালে গুলির শব্দে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় সন্তোষকে তাঁরা প্রথমে নিয়ে যান সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহে। তবে পরিবারের লোকেরা ইংরেজবাজারের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্তোষের স্ত্রী পুনম। তিনি বলেন, ‘‘আমি ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাড়িতে আরও তিন সন্তান আছে। এমন অবস্থায় আমার স্বামীর কিছু হয়ে গেলে ছেলেদের নিয়ে ভেসে যাব। আমি চাই সনাতনের কঠোর শাস্তি হোক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সনাতন আমার স্বামীকে হুমকি দিত। তবে গুলি চালিয়ে খুনের চেষ্টা করবে, তা কখনও ভাবিনি।’’ এলাকার লোক উদ্বিগ্ন, এত আগ্নেয়াস্ত্র আসছে কোথা থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement