Mamata Banerjee

বোর্ড সক্রিয়তায় ‘কৌশলী’ মমতা

মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ-এর চেয়ারম্যান অনীত থাপাদের নির্দেশ দেন বোর্ডগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে নিতে। পাহাড়ের বোর্ডগুলিকে দিয়েও যে সরকার ফের কাজ করাতে উদ্যোগী তা মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট বলে দাবি রাজ্যের এক মন্ত্রীর।

Advertisement

অনির্বাণ রায় 

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য তৈরি হওয়া বোর্ডগুলিকে সক্রিয় করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজবংশী বোর্ড শীঘ্রই পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প, গৃহহীনদের জন্য বাড়ি তৈরির মতো কাজের দায়িত্ব পেতে পারে। বুধবার উত্তরকন্যার বৈঠকে এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

রাস্তা তৈরির কাজের ভারও রাজবংশী বোর্ড নিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে চলতি প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় সমন্বয়ে সমস্যা হতে পারে ভেবে, সেই দায়িত্ব বাকি বোর্ডগুলিকে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সে ক্ষেত্রে অন্য বোর্ডগুলিও একই রকম কাজের দায়িত্ব পেতে পারে। ভোটের আগে রাজ্য যে কাজ গুটিয়ে নিতে চাইছে, সে কথা বৈঠকে বিদায়ী মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের মুখে শোনা গিয়েছে। যে সব প্রকল্প আগামী মার্চ-এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা, সেগুলি জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বোর্ডগুলিকে দিয়ে দ্রুত বেশি কাজ করানো সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দিক থেকেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দিনের বৈঠকে তরাই-ডুয়ার্স বোর্ডকে ১০ কোটি, আদিবাসী বোর্ডকে ১০ কোটি টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে ১৩টি বোর্ড রয়েছে। এই বোর্ডগুলি আগে থেকেই গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার মতো কাজ করে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ-এর চেয়ারম্যান অনীত থাপাদের নির্দেশ দেন বোর্ডগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে নিতে। পাহাড়ের বোর্ডগুলিকে দিয়েও যে সরকার ফের কাজ করাতে উদ্যোগী তা মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট বলে দাবি রাজ্যের এক মন্ত্রীর। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজবংশী বোর্ড একটি বেশি কাজ করতে চাইছে। আমরা সেটা দেখছি। পানীয় জল থেকে বাড়ি তৈরির কাজ বোর্ড করতেই পারে। তরাই-ডুয়ার্স বোর্ড, আদিবাসী বোর্ড সবাইকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

এত দিন বোর্ডগুলিকে কী কাজ করেছে, তারও হিসেব চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন নমঃশূদ্র বোর্ডের চেয়ারম্যান মুকুল বৈরাগ্য। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “বলো, কী কাজ করেছ তোমরা?” নমঃশূদ্র বোর্ডে বনগাঁ এবং কল্যাণী থেকেও প্রতিনিধি নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বনগাঁর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাখার ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধি থাকলে সব এলাকার দাবি-দাওয়াই বোর্ড জানতে পারবে বলে এক সদস্যের দাবি। বোর্ড দিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোও মমতার কৌশলী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement