tmc

নতুন কমিটিতে কি নবীন বেশি

শুক্রবার সকালে মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়িতে গিয়ে রঞ্জন তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন৷ দলীয় সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির মাথায় থাকা গৌতম ও টিম পিকের পরামর্শ মেনেই নতুন কার্যকরী নেতানেত্রীদের এ বার সামনে আনা হবে। এর মধ্যে নবীনদের সংখ্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৬:৩৪
Share:

গৌতম দেব—ফাইল চিত্র

সাংগঠনিক রদবদলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার দুপুরে দলের সমতলের সব কমিটি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। একমাত্র রাখা হল ব্লক কমিটির সভাপতিদের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রদবদলে আন্দাজ হয়েছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়িতে প্রবীণদের একাংশকে রেখে নবীন প্রজন্মকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছেন। এ বার জেলার কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান নিখিল সাহানিকে।
শুক্রবার সকালে মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়িতে গিয়ে রঞ্জন তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন৷ দলীয় সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির মাথায় থাকা গৌতম ও টিম পিকের পরামর্শ মেনেই নতুন কার্যকরী নেতানেত্রীদের এ বার সামনে আনা হবে। এর মধ্যে নবীনদের সংখ্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলের বিভিন্ন স্তরের কমিটি বা শাখা সংগঠন থেকে সক্রিয় নন এমন অনেক নেতানেত্রীর বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গৌতম বলেছেন, ‘‘রঞ্জন বাড়িতে এসেছিলেন। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’ জেলা সভাপতি বলেছেন, ‘‘গৌতমবাবু আমাদের নেতা। নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর কথা বলেছি। জেলায় সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু রদবদল করা হবে। তাই ব্লক সভাপতিদের রেখে সমস্ত ধরনের কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। দ্রুত কমিটিগুলি পরপর তৈরি হবে।’’
শিলিগুড়ি শহরে তৃণমূলের তিনটি টাউন ব্লক কমিটি রয়েছে। মাটিগাড়া, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, বিধাননগরের ব্লক কমিটিগুলি রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নতুন যুব সভাপতি নিয়োগ হয়েছে। মহিলা, ছাত্র, কৃষক, সংখ্যালঘু, শিক্ষা সেল, সরকারি কর্মীদের শাখা সংগঠন রয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগেই ধাপে ধাপে সেগুলিতেও রদবদল হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। করোনা আবহ শেষ হলেই পুরভোটের সম্ভাবনা আছে। তাই শহরকে গুছিয়ে নিতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূল সূত্রের খবর, কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। কারও কারও উপরে নজর রয়েছে দলের। পিকের টিমের তরফেও নজরদারি হয়েছে। তারা কলকাতায় রিপোর্ট দিয়েছে। রদবদলের ক্ষেত্রে সেই রিপোর্ট বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement