ফাইল চিত্র।
ইটাহারে সরকারি বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সেটির উদ্বোধন করেন মমতা। ইটাহারের চৌরাস্তা এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নতুন টার্মিনাসের উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে নীলসাদা শামিয়ানায় দুটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। একটি মঞ্চে ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা, রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসপ্রীত সিংহ ও ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। অন্য মঞ্চে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তারা ছিলেন। মমতার সঙ্গে জেলাশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও অমলের অনলাইনে সরাসরি কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে মমতা টার্মিনাস উদ্বোধনের আগে অমলের নাম করলেও কারও সঙ্গে কথা বলেননি। টার্মিনাসের পাশাপাশি সেখানে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের টিকিট কাউন্টার, সেখান থেকে সকালে কলকাতাগামী শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস পরিষেবা, ইটাহারের মারনাই মোড় ও বাঙার এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাসস্টপেরও উদ্বোধন করেন মমতা।
গত সোমবার ইটাহারে এসে ওই টার্মিনাসের উদ্বোধন করার কথা ছিল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু তার আগে গত শনিবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব অমলকে ফোন করে জানান, মুখ্যমন্ত্রীই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ওই টার্মিনাসের উদ্বোধন করবেন।
অমল বলেন, "এক বছর ধরে বিভিন্ন তারিখে শুভেন্দুবাবুর ওই বাস টার্মিনাস উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি নানা কারণে আসতে পারেননি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ইটাহারের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের বিভিন্ন দাবি মেনে টার্মিনাস সহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। তাই উদ্বোধন নিয়ে বিতর্কের কোনও ব্যাপার নেই।"
শুভেন্দুর অনুগামী বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ড্রাইভার্স অ্যান্ড তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের অফিস সম্পাদক কৌশিক দে-র দাবি, “শারীরিক অসুস্থতার জন্য টার্মিনাসের উদ্বোধনে যেতে পারিনি।”
পরিবহণ দফতরের ৮ কোটিরও বেশি টাকা খরচে ওই টার্মিনাস তৈরি হলেও এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমল, জেলাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দফতরের মন্ত্রী শুভেন্দুর নাম উল্লেখ পর্যন্ত করেননি।