মৃত গন্ডার। গরুমারায়। নিজস্ব চিত্র
লাটাগুড়িতে শুরু হল রাজ্য স্তরের বনবান্ধব উৎসব। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ওই উৎসবের সূচনা করেন। এ দিকে মঙ্গলবারেই লাটাগুড়ি লাগোয়া গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ফের পুরুষ গন্ডারের দেহ উদ্ধার হল। সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে এই মৃত্যু বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই নিয়ে গত আড়াই মাসে তিনটি পুরুষ গন্ডারের মৃত্যু হল। সব ক্ষেত্রেই স্ত্রী গন্ডার কম থাকার কারণকেই কাঠগড়ায় তুলছেন পরিবেশপ্রেমীরা। আর এই কারণেই বারবার শক্তিশালী পুরুষ গন্ডারদের হাতে মারা পড়ছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল গন্ডারেরা। এর আগে অবশ্য এক বার দুই পুরুষ গন্ডারের লড়াই রুখতে পেরেছিলেন বনকর্মীরা।
এ দিন বনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ফের গন্ডার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে যাওয়ায় কার্যত হতাশা ছড়িয়ে পড়ে বনাধিকারিক মহলে। বনমন্ত্রী এলে তাঁকেও বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘কেন এমন হচ্ছে, আর এই মৃত্য রুখতে কী করা প্রয়োজন তার সব দিকই আমরা খতিয়ে দেখব।” মৃত গন্ডারটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বলেই বন দফতর সূত্রের খবর। এ দিনই গাছ চুরি ও নজরদারি বাড়াবার দাবিতে পরিবেশকর্মী যৌথ মঞ্চের তরফে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকপত্র মন্ত্রীকে দেওয়া হয়। দু’দিনের এই বনবান্ধব উৎসবে নানা সরকারি ও পরিবেশকর্মীদের স্টল সাজিয়ে তোলা হয়েছে। নানা প্রকল্পে সুবিধা দেওয়ার আয়োজনও করা হয়েছে। সাড়ে চার কোটি টাকা জলপাইগুড়ি, গরুমারা এবং বৈকুন্ঠপুর তিন বনবিভাগে বিলি করা হয়। যাতে প্রায় ২০ হাজার বনবস্তিবাসী সুবিধা পাবেন বলেও জানানো হয়। বিলি হয় সাইকেল, সেলাই মেশিন। যে সব বনবাংলো অনলাইন ছাড়া বুকিং মিলত না সেই বনবাংলো অফলাইনে সরাসরি কাউন্টার থেকেই বুকিং মিলবে বলেও এ দিন মন্ত্রী ঘোষণা করেন।