মৃত গৃহবধূ। নিজস্ব চিত্র।
মহানন্দা নদী থেকে শিশুকন্যা এবং এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহ জেলার চাঁচলের আশাপুর এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার আশাপুর এলাকায় মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে দু’টি দেহ ভেসে আসতে দেখেন স্থানীয়রা। তা দেখে তাঁরা চাঁচল থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম প্রিয়া পারভিন (২৩) এবং মৃত শিশুটির নাম সেমি পারভিন (৩)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের গরাহার গ্রামের মহম্মদ সামিউল্লাহ রাজ নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রিয়ার। মৃতার দাদু খলিল মাহমুদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁর নাতনির উপর অত্যাচার চালাত সামিউল্লাহ। এক মাস আগে তিনি সামিউল্লাহকে পণ বাবদ ছ’লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তার পরও কেন তাঁর নাতনি এবং নাতনির তিন বছরের মেয়েকে খুন করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
চাঁচল এবং ইটাহার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মৃত মহিলার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ইটাহার থানার পুলিশ। কী ভাবে এবং কেন খুন করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।