Sericulture

ক্ষতিপূরণ না পেলে আত্মহত্যার হুমকি কালিয়াচকের রেশম চাষিদের

লকডাউনে সরকারি কেন্দ্র থেকে রেশম চাষের জন্য পলুর ডিম না দেওয়ায় বেশি দামে তা কিনতে হয়েছে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলমটোলা গ্রামের রেশম চাষিদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালিয়াচক শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ১৪:২৮
Share:

বিডিও অফিসে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত রেশম চাষিরা। নিজস্ব চিত্র।

মালদহের অর্থকরী ফসলের মধ্যে রেশম অন্যতম। এই জেলার কয়েক হাজার পরিবার রেশম চাষের উপর নির্ভরশীল। লকডাউনে সরকারি কেন্দ্র থেকে রেশম চাষের জন্য পলুর ডিম না দেওয়ায় বেশি দামে তা কিনতে হয়েছে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলমটোলা গ্রামের রেশম চাষিদের। কিন্তু তা ফুটে রেশম কীট বের না হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে ওই গ্রামের চাষিদের। এই পরিস্থিতিতে সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন তাঁরা।

Advertisement

লকডাউনের জেরে সর্বস্বান্ত হয়েছেন মালদহ জেলার প্রচুর রেশম চাষি। আলমটোলা গ্রামে ২০-২৫টি পরিবার রেশম চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতি বছরই স্থানীয় বাগমারা রেশম চাষ দফতর থেকে সরকারি ভাবে রেশমের পলুর ডিম সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এ বছর লকডাউনে মোথাবাড়ি বাগমারা রেশম চাষ দফতর থেকে এলাকার কোনও রেশম চাষিকে পলুর ডিম সরবরাহ করা হয়নি।

তাই ওই এলাকার কৃষকরা ছোট নগদিপুর গ্রামের রেশম গুটি বিক্রেতা পরিতোষ মণ্ডলের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে পলুর ডিম কিনে রেশম চাষ করতে বাধ্য হন। কিন্তু চাষ করার দীর্ঘ দিন পরেও পলুর ডিম ফুটে শুককীট না আসায় সমস্যায় চাষিরা। এই ঘটনায় আলমটোলা গ্রামের সমস্ত রেশম চাষি মোথাবাড়ি থানায় গিয়েছিলেন। পলুর ডিম বিক্রেতা পরিতোষ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন তাঁরা। সেই অভিযোগ না নিয়ে পলু চাষিদের ব্লক অফিসে পাঠায় পুলিশ। ব্লক অফিসে বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়ে ক্ষতিপূরণও দাবি করেন তাঁরা। ক্ষতিপূরণ না পেলে আগামী দিনে ব্লক অফিসে এসে আত্মহত্যার হুমকিও দেন রেশম চাষিরা।

Advertisement

কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সঞ্জয় ঘিসিং বলেছেন,‘‘রেশম চাষিদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।রাজ্য রেশম দফতরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে চাষিদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।’’ তবে বাজারের কোনও প্রতারক ব্যবসায়ীর থেকে রেশম গুটি কিনে চাষিরা যে বিপদে পড়েছেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement