বিডিও-র দফতরের বাইরে মহম্মদ মানিক। নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল তাঁর। কিন্তু সেই পরিষেবা ফিরিয়ে দিলেন তিনি। তিনি জলপাইগুড়ির মহম্মদ মানিক। গত বছর বিজয়া দশমীর দিন মাল নদীতে হড়পা বান নেমে ঘটেছিল বিপর্যয়। তাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছিল। সেই বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন মানিক। পরিচয় দিয়েছিলেন সাহসিকতার। সেই মানিকই গড়লেন নতুন নজির।
সম্প্রতি আবাস যোজনার তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিল জলপাইগুড়ির পশ্চিম তেশিমিলার বাসিন্দা মানিকের নাম। সোমবার মাল পঞ্চায়েত সমিতির দফতরে পৌঁছন মানিক। সেখানে তাঁর নাম তালিকা থেকে সরানোর জন্য বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিডিও। মানিকের কথায়, ‘‘আমার থাকার মতো ঘর আছে। এই মুহূর্তে আমার ঘরের দরকার নেই। তাই আমি তা ফিরিয়ে দিলাম।’’ সাধুবাদ পেয়েছে মানিকের এই ত্যাগের দৃষ্টান্ত। মালের বিডিও শুভজিৎ দাশগুপ্তের কথায়, ‘‘আমরা তাঁর এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছি। খুবই ভাল কাজ করেছেন এই যুবক।’’
গত বছর ৫ অক্টোবর মাসে বিসর্জন চলাকালীন হড়পা বান নামে মাল নদীতে। নদীর ভয়ঙ্কর স্রোতে ভেসে যান অনেকে। বিপত্তির জেরে মৃত্যু হয় ৮ জনের। জখম হন ১৩ জন। সেই বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অনেকের প্রাণ বাঁচান মানিক। তাঁকে পুরস্কৃত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।