ফাইল চিত্র
এক শিক্ষকের কাছ থেকে মাধ্যমিকের ইংরেজির ৭৩টি উত্তরপত্র হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার বিকেলে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ঘটনা। ঘটনার পরেই দেওচড়াই হাইস্কুলের ওই শিক্ষক উৎপল দাম পুলিশের কাছে খাতা নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার উৎপলবাবুর স্কুলে গিয়ে তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে এ দিন পর্যন্ত খাতাগুলির সন্ধান মেলেনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোচবিহার জেলা প্রতিনিধি মিঠুন বৈশ্য এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘ওই শিক্ষকের বাইক থেকে ৭৩টি ইংরেজি খাতা কোনও ভাবে পড়ে গিয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদে জানানো হয়েছে। থানায় একটি জেনারেল ডায়েরিও করা হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে উৎপলবাবু বাইকে দেওচড়াই থেকে দিনহাটায় প্রধান পরীক্ষকের কাছে ওই ৭৩টি উত্তরপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। খাতাগুলি তাঁর বাইকের পিছনে রাখা ছিল। তুফানগঞ্জের বলরামপুর এলাকায় রাস্তায় কোনও ভাবে ওই খাতাগুলি নিখোঁজ হয়ে যায় বলে ওই শিক্ষক দাবি করেছেন। খাতাগুলি তাঁর বাইকের পিছনে নেই, এটা জানার পর উৎপলবাবু পুলিশের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার দেওচড়াই স্কুলে গিয়ে উৎপলবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় তুফানগঞ্জে। প্রশ্ন উঠেছে, ওই ৭৩ জন পরীক্ষার্থীর কী হবে? এ বিষয়ে মিঠুন বৈশ্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে যে ভাবে আমাদের নির্দেশ দিয়েছে, সেইমতো আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি খাতাগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’’
সংশ্লিষ্ট ওই শিক্ষককে বারবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণু কার্জির প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি জানান, খাতা হারানোর বিষয়টি তাঁর স্কুলের বাইরে হয়েছে। তাই উৎপলবাবু তাঁর স্কুলের শিক্ষক হলেও তাঁর পক্ষে এ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।