Madhyamik 2020

তল্লাশির দায়িত্বে নাকাল হলেন শিক্ষকরা

বুধবার তাই নজরদারি আরও কঠোর করা হয়। পরীক্ষার্থীদের কড়া তল্লাশি করে ঢোকানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৯
Share:

বজ্র আঁটুনি: পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে তল্লাশি পরীক্ষার্থীদের। বুধবার বাগডোগরার শুভমায়া এসএন হাইস্কুলে। মঙ্গলবার এই কেন্দ্রেই মোবাইল নিয়ে ধরা পড়েছিল ১৮ জন পরীক্ষার্থী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

নজরদারি চারদিকে। তা হলে কী ভাবে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাহলে ঢুকল এত জন ছাত্র? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গিয়েছে, অন্তর্বাসের মধ্যে ফোন নিয়ে হলে ঢুকেছিল ওই ১৮ জন। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বুধবার তাই নজরদারি আরও কঠোর করা হয়। পরীক্ষার্থীদের কড়া তল্লাশি করে ঢোকানো হয়। বিশেষ করে বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের। তবে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের পক্ষপাতী নন জেলায় পরীক্ষা পরিচালনায় যুক্ত কর্তৃপক্ষ। তল্লাশি কে করবে, সেই নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়। পুলিশকে বলা হলে তারা উল্টে এই দায়িত্ব শিক্ষকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। ফলে অনভ্যস্ত শিক্ষকেরা নাজেহাল হন। চার শিক্ষিকা এবং ছয় শিক্ষক তল্লাশির কাজে হাত লাগান। শেষে কয়েক জন মহিলা সিভিক পুলিশ ছাত্রীদের তল্লাশির সময় সাহায্য করেন।

পুলিশের এই ভূমিকায় শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। শিক্ষকদের একাংশ জানায়, আগের দিন যে ভাবে মোবাইল ফোন প্যান্টের ভিতরে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেছে বহিরাগত পরীক্ষার্থীরা, তা উদ্বেগজনক। ওই পরীক্ষার্থীদের অনেকের তিরিশের বেশি বয়স। শিক্ষকদের দাবি, এই ছাত্রদের তল্লাশি করে মোবাইল বার করতেও সমস্যা হয়। শিক্ষকদের অনেকের পক্ষে সে ভাবে তল্লাশি করাও সম্ভব হয় না। দু’জন বহিরাগত ছাত্রীও লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে ঢোকার সময়ে ধরা পড়ে যায়। সেই তল্লাশিতেও বেগ পেতে হয়েছে দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকাদের।

Advertisement

স্কুলের প্রধান শিক্ষক গঙ্গাবাহাদুর ক্ষেত্রী বলেন, ‘‘আমাদের দিক থেকে যতটা ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব আমরা করছি।’’ পরীক্ষা পরিচালনায় যুক্ত শিড়িগুড়ি শিক্ষা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক রাম ছেত্রী বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা অপরাধী নন— এই ভাবনা থেকেই মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয়নি। তবে ভাল করে তল্লাশি করতে বলা হয়েছে।’’ মঙ্গলবারের অভিযুক্তরা বুধবার পরীক্ষা দিয়েছে।

এ দিনও পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উদ্বেগ ছড়ায় শুভমায়া এনএন স্কুল চত্বরে অপেক্ষারত অভিভাবকদের মধ্যে। এই স্কুল থেকেই প্রশ্ন বার হল কি না, তা নিয়ে গঞ্জন শুরু হয়। তবে শিক্ষকদের দাবি, এ দিন প্রশ্ন বাইরে আসার ব্যাপার ছিল না। পরে পরীক্ষার শেষে ছাত্রছাত্রীরাও জানায়, তারা যে প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে, তার সঙ্গে বাইরে বার হওয়া প্রশ্নের মিল নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement