—প্রতীকী ছবি
১০ টাকায় পেট ভরে ভাত-ডাল ও নিরামিষ তরকারি। খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের জন্য বছর আটেক আগে ‘অন্নপূর্ণা’ নামে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিলেন দার্জিলিংয়ের তৎকালীন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। কিন্তু তিনি বদলি হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা রূপায়ণ করা যায়নি। এ বার সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত করতে মাঠে নামলেন মন্ত্রী গৌতম দেব। পুরনো সেই ফাইল বের করে তিনি আলোচনায় বসলেন বর্তমান জেলাশাসকের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস স্ট্যান্ডের কাছে শুরু হবে এই প্রকল্প।
অনেকদিন আগে দেশে ও এ রাজ্যে বেসরকারি উদ্যোগে অন্নপূর্ণা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কমিউনিটি কিচেন প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। সেই ধাঁচে রাজ্যের প্রচুর জায়গায় গরিব মানুষের পেট ভরাতে পুরসভার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিও এগিয়ে আসে। আর শিলিগুড়িতে ‘অন্নপূর্ণা’ পরিকল্পনার মূলে ছিলেন সৌমিত্র মোহন। জেলাশাসক থাকাকালীন শিলিগুড়িতেও ১০ টাকায় গরিব মানুষের পেট ভরাতে চেয়েছিলেন তিনি। জংশনে তেনজিং নোরগে বাস স্ট্যান্ডের কাছে সরকারি জায়গায় দু’টি ঘরও দেখা হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরে তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় ও আরও কিছু কারণে থমকে যায় এই উদ্যোগ।
থমকে যাওয়া সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে আসেন মন্ত্রী গৌতম। জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠীর সঙ্গে সোমবার আলোচনায় বসেন তিনি। সমাজসেবী ও বেসরকারি সংস্থাগুলির সহযোগিতা নিয়ে এই কমিউনিটি কিচেন খোলা হবে। এ দিন মন্ত্রী বলেন, ‘ভর্তুকি দিয়ে চালানো হবে। তবে এই কর্মসূচিতে কোনও সরকারি সহায়তা থাকছে না। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজ করা হবে’।
শিলিগুড়িতে ইতিমধ্যেই বেশকিছু বেসরকারি সংস্থার তরফে ৫ টাকায় ভাত, রুটিও খাওয়ানো হয়। গাড়িতে করে ঘুরে শিবির করে খাওয়ানো হয়। তবে নতুন এই উদ্যোগে আপাতত ভাত, ডাল ও একটি নিরামিষ তরকারি মেনুতে থাকবে। পরবর্তীকালেও আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, পরিচ্ছন্নতার দিকেও বিশেষ নজর রাখা হবে।
জংশন এলাকা দিয়ে বহু মানুষের আসা যাওয়া। বহু দিনমজুর ও শ্রমিকদের আসা-যাওয়াও রয়েছে। সেখানে এই কিচেন খুলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যায় গরিব মানুষদের খাওয়ানো হবে। শীঘ্রই বেসরকারি সংস্থাগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন জেলাশাসক। আশা করা হচ্ছে, নতুন বছরের প্রথম দিকেই চালু হয়ে যাবে ‘অন্নপূর্ণা’।