নির্বাচন ঘোষণার পর জেলা পুলিশের খাতায় ফেরারদের ধরপাকড়ে মালদহ জেলায় পুলিশ তোড়জোড় শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় পুলিশের খাতায় ফেরার অভিযুক্তের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এর মধ্যে গত দু’দিনেই জেলায় অন্তত ৪২৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ফেরার তালিকায় বেশ কয়েকজন রয়েছে। এদিকে, নির্বাচনের সময় গোলমাল পাকাতে পারে এমন ৬২ জনের একটি তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ৬২ জনকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশের আশ্বাস।
গত রবিবার লোকসভা নির্বাচনে সূচি ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৩ এপ্রিল মালদহ জেলার উত্তর মালদহ ও দক্ষিণ মালদহ আসনে ভোট হবে। ভোট ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা জেলায় তুঙ্গে।
এদিকে, জেলায় লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের খাতায় ফেরার অভিযুক্তদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় পুলিশের খাতায় ফেরারদের সংখ্যা তিন হাজার ৩০ জন। ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, বোমাবাজি, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার, জাল নোটের কারবার, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ধর্ষণ, বধূ নির্যাতন-সহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, মোথাবাড়ি, ইংরেজবাজার, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল এলাকায় ফেরারদের সংখ্যা বেশি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই জেলায় ফেরার তালিকায় নাম থাকা অভিযুক্তদের ধরপাকড় শুরু হয়েছিল। এজন্য বিভিন্ন থানা এলাকা ধরে একটি করে তালিকাও প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকা ধরেই ধরপাকড় চলছে। নির্বাচন ঘোষণার পর ধরপাকড়ে আরও তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেরার তালিকায় নাম থাকা প্রায় ৬০০ জনকে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত রবিবার, নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলায় নানা অভিযোগে মোট ৪২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর মঙ্গলবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিংও চলে। বিশেষ করে, মালদহ জেলা সংলগ্ন বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তে নাকা চেকিং করা হয়েছে। বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের সময় গোলমাল পাকাতে পারে এমন ৬২ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ৬২ জন মালদহ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার বাসিন্দা। তাদেরও নির্বাচনের আগেই গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের খাতায় ফেরারদের গ্রেফতার প্রসঙ্গ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ। তবে, জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ফেরারদের তালিকা ধরে ধরপাকড় চলছে জেলা জুড়ে।