পাশে: গাজলে ভোট প্রচার মৌসমের। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
ছোটছোট দুই ছেলেমেয়ের মা তিনি। ভাইবোন দু’জনেই কলকাতার একটি নামী স্কুলে পড়াশোনা করে। দোলের ছুটিতে এখন বাড়িতে। আর ছুটির সময় বাড়িতে ওদের নিজের হাতে খাওয়াতে পছন্দ করেন তিনি। রবিবার ভোটপ্রচারে বেরনোর আগে দু’জনকে ঘুম থেকে তুলে দুধ-কর্নফ্লেক্স খাইয়ে দেন। তারপর নিজেও সামান্য ভাত খেয়ে বেরিয়ে পড়েন প্রচারে। সাতসকালে উঠে এ ভাবেই সংসার কিছুটা সামলে দিলেন তিনি। তারপর সারাদিন ধরে গাজলের বিভিন্ন গ্রাম চষে বেড়ালেন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুর।
ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই বদলে গিয়েছে প্রার্থীদের রোজনামচা। তার উপর ছুটির দিনকে কাজে লাগাতে মরিয়া সব দলেরই প্রার্থীরা। তবে উত্তর মালদহে চার প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র মহিলা প্রার্থী মৌসম। ছুটির দিনের প্রচারে নজর কেড়েছেন তিনি। এ দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন। তার পরে ছেলেমেয়েদেরও ঘুম থেকে তুলে নিজের হাতে খাইয়ে দেন মৌসম। এ দিন তিনি বললেন, “ছেলেমেয়েরা হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। এখন ছুটি থাকায় কোতোয়ালির বাড়িতেই রয়েছে ওরা। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি ওদের নিজের হাতে খাওয়াতে। ভোটের সময় কাজের চাপ হয় ঠিকই। তাই সকালের দিকে চেষ্টা করি ওদের খাওয়াতে।”
সবকিছু সামলে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বেরিয়ে পড়েন সাংসদ-প্রার্থী মৌসম। সকাল ৯টা নাগাদ গাজলের থানা মোড় লাগোয়া এলাকায় কর্মীদের নিয়ে ছোট সভা করেন তিনি। তারপরে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার লাগোয়া গাজলের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তিনি রোড-শো করেন। ময়না, আহোড়া, হলদিবাড়ি, দুর্গাবাড়ি, চম্পাদিঘি, কানাইনগর, মহাকাল বোনা, রাজা রামচক এবং বৈরগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙাচোরা রাস্তার দিয়েই রোড-শো করেন তিনি। কখনও আবার রাস্তায় পায়েও হাঁটেন মৌসম। তবে রাস্তার দু’ধারে শিশুদের দেখলেই কোলে তুলে নিচ্ছেন তিনি। আহোড়া গ্রামের বাসিন্দা সুনীতা হাঁসদা আপ্লুত কণ্ঠে বললেন, “আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে চুমু খেলেন মৌসম। ভাবতেই অবাক লাগছে!’’ মৌসম বললেন, “আমারও দুই সন্তান রয়েছে। রাস্তার ওই শিশুদের দেখে আমার ছেলেমেয়েদের কথাই ভাবি।”
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মৌসম এ দিন দুপুরের খাওয়ার সারেন লক্ষ্মীরাম মার্ডি নামে এক কর্মীর বাড়িতে। পাতে ছিল ভাত, ডাল এবং আলুভাজা। তারপরে ফের রাস্তায় নামা। এরপর মাঝরা গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মিসভা করেন তিনি।