মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাসমেলার মাঠ নিয়ে বিতর্ক চলছিল দিন কয়েক ধরেই। রবিবার ওই মাঠেই দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, “ওই মঞ্চ দিদির পরাজয়ের স্মারক।’’ তিনি যাতে সভা করতে না পারেন সে জন্যেই ওই মঞ্চ তৈরি করা হয় বলেই অভিযোগ ওঠে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই জায়গাটা আমাদের বুক করা ছিল। ৩১ তারিখে আমার অফিস চিঠি দিয়ে এই মাঠটা বুক করে প্রোগ্রামের জন্য। ৭, ৮, ৯ তারিখও বুক করা ছিল।’’
এরপরেই মোদীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনি তো চিঠি অনেক পরে দিয়েছেন। অন্য লোক হলে মাঠ দিতই না। আমাদের বুক করা ছিল। রবিরা (তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ) দিতে চায়নি। আমি বললাম দিয়ে দে রে দিয়ে দে।” মমতা বলেন, “রবিরা বললেন, দিদি মঞ্চ হইয়া গ্যাছে। প্যান্ডেল হইয়া গ্যাছে। আমি বললাম, তবু দিয়া দে। প্যান্ডেল ঢাইকা রাখ, দিয়া দে। আমি প্যান্ডেল খুইলা নিমু। লজ্জা নেই। কোথায় কৃতজ্ঞতা জানাবে। বলছে এটা নাকি বিনাশ মঞ্চ। বিনাশ কালে বুদ্ধিনাশ।’’
এই মাঠ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই তরজা চলছে। তৃণমূলের দাবি, মাঠের অনুমতি তাদের কাছে থাকলেও, রাজনৈতিক সৌজন্য দেখিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য বিজেপিকে মাঠ ছেড়েছে। কিন্তু বিজেপির দাবি, তারা নিয়ম মতোই আবেদন করে মাঠ পেয়েছে। তার পরে তৃণমূল মাঠে মঞ্চ বেঁধে রেখে তাদের সভায় অসুবিধাই তৈরি করেছে।