প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের ৩৮টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেও মালদহের দু’টি সহ কংগ্রেসের দখলে থাকা চারটি আসনে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল না বামেরা। এমনকি, কংগ্রেসকে আসন সমঝোতার জন্য দেওয়া হল আরও ২৪ ঘণ্টা। সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের পরেই মালদহের দু’টি সহ চারটি আসনে প্রার্থীর বিষয়ে নাম চূড়ান্ত করা হবে বলে জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
আর তাতেই দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। দলীয় নেতৃত্বদের একাংশের দাবি, প্রার্থী দেওয়া হবে কি না, তা এখনই স্পষ্ট করে কর্মীদের জানানো হোক। কারণ, প্রার্থী থাকলে একরকম অবস্থান নেওয়া হবে। আর না থাকলে একরকম অবস্থান নেওয়া হবে। তবে প্রস্তুতি চূড়ান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, “চারটি আসনে প্রার্থী না দিয়ে আসন সমঝোতার বার্তা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। কারণ, আমরা চাই তৃণমূল ও বিজেপিকে উৎখাত করতে। আর আমাদের লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে নয়। তাই কংগ্রেস নিয়ে এখনই কিছু বলব না। তবে আমাদের দু’দলের মধ্যে আলোচনা ছিল আমাদের জেতা দুটি এবং কংগ্রেসের জেতা চারটি আসন নিয়ে আলোচনা হবে না। যদিও কংগ্রেস আমাদের আসন গুলিতে প্রার্থী দিয়ে দিয়েছে।”
তা হলে বামেরা কেন খোলা রাখছে রাস্তা? তিনি বলেন, “আমরা ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছি। তারপরেই আমাদের সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।” আর চারটি আসনেই লড়াই করার জন্য আমরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও কংগ্রেসের একা লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর মালদহের প্রার্থী তথা কোতুয়ালি পরিবারের সদস্য ইশা খান চৌধুরী। তিনি বলেন, “জেতা আসনগুলোতে কংগ্রেসের জেতার মতো ক্ষমতা রয়েছে। তবে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলেরই বিরোধীদের সমর্থন পেলে আরও শক্তিশালী হবে দল।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আসন সমঝোতা। আর তাতে কার্যত লোকসান হয়েছে বামেদেরই। ভরসা হারিয়েছেন কংগ্রেসেরও। বামেদের দুই প্রার্থী বিধানসভাতে জয়ী হন। দু’জনেই এখন নাম লিখিয়েছেন অন্য শিবিরে।
পঞ্চায়েতে মাত্র ২৬টিতে প্রার্থী দিয়েছিল, সমস্ত আসনে ভরাডুবি ঘটেছিল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের ক্ষয়িষ্ণু দুদল একদিকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।’’