শুরু: প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেই দেওয়াল লিখন শুরু।
দলের প্রথম, দ্বিতীয় বা তার পরের কোনও স্তরের নেতা নয়। লোকসভা ভোটে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে ভরসা রাখল শাখা সংগঠনের নেতার উপরে।
শুক্রবার ঘোষণা করা হয় জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে বাম প্রার্থী হচ্ছেন সিপিএমের শিক্ষক নেতা ভগীরথ রায়। সিপিএম সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি আসন পেতে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার শুরুর থেকেই তারা সওয়াল শুরু করেছিল। বেশ কিছুদিন আগেই জেলা থেকে প্রস্তাবিত প্রার্থীদের নামও আলিমুদ্দিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তালিকায় প্রাক্তন বিধায়ক-সহ পরিচিত মুখের নামই জেলা নেতৃত্ব স্থির করেছিল। দলের অন্য একটি অংশ তাতে আপত্তি করে। পরিচিত মুখ দাঁড় করিয়ে কত ভোট নিজেদের বাক্সে ফেরত আনা যাবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শেষে বেছে নেওয়া হয় ভগীরথবাবুর নাম। দলের নেতাদের মতে, সর্ব স্তরেই ভগীরথবাবুর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
গত লোকসভা ভোটের আগে জলপাইগুড়ি আসনে বরাবরই বামেদের আধিপত্য থেকেছে। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে সিপিএম প্রার্থী জিতে এসেছিলেন। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে সিপিএমের হারের পর থেকে বিধানসভা হোক বা পঞ্চায়েত— সব ভোটেই বামেদের শক্তিক্ষয় জারি থেকেছে। প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দু’নম্বরে উঠে এসেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে গত বারের লোকসভা নির্বাচনে পাওয়া নিজেদের ভোট ধরে রাখাও অন্যতম পরীক্ষা বলে বাম নেতাদের একাংশ মনে করছেন। সেই প্রেক্ষিতেই নতুন মুখের খোঁজ শুরু হয় বলে সিপিএম সূত্রে খবর।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের জুরাপানি গ্রামে আদি বাড়ি ভগীরথ রায়ের। ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ভগীরথবাবু দীর্ঘ দিন জুরাপানি হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন। ২০১৬ সালে অবসরের পরে জলপাইগুড়ি শহরের নতুনপাড়ায় ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা। শিক্ষক সংগঠনের পরিচিত মুখ হলেও সিপিএমের সক্রিয় নেতা হিসেবে তাঁকে দেখা যায়নি বলেই দলের কর্মীরা জানিয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন ভগীরথ বলেন, ‘‘আমি কোনও দিনই ভোটে লড়িনি। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে এমন খবরও আমার কাছে ছিল না। নাম ঘোষণার পরেই জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য আমাকে ফোন করে জানান।’’ এ দিন তিনি গ্রামের বাড়িতেই ছিলেন। শনিবার থেকে দলের নির্দেশ মেনে প্রচারে নামবেন বলে ভগীরথ জানিয়েছেন। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য জানান, প্রার্থীর সমর্থনে জলপাইগুড়িতে এসে দু’টি সভা করবেন সূর্যকান্ত মিশ্র।