সমালোচনা: বামনগোলার জগদল্লা পঞ্চায়েতে। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র
মৌসম নুরের পা জল দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছেন আদিবাসী এক মহিলা। নিমেষের মধ্যে এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক!
বৃহস্পতিবার মালদহের বামনগোলা ব্লকের জগদল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের বানপাহাড় গ্রামের ঘটনা। প্রতিদিনের মতো এ দিনও প্রচারে বেরিয়েছিলেন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১২টা নাগাদ বামনগোলা ব্লকের জগদল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম বানপাহাড়ে ভোট প্রচারে যান মৌসম। একটি বাড়ির উঠোনে তাঁকে চেয়ারে বসানো হয়। তারপর একটি কাঁসার থালার উপরে মৌসমকে পা রাখতে বলা হয়। মৌসম দুই পা তুলে দেন ওই থালার উপর। চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলা জল দিয়ে মৌসমের পা ধুইয়ে দেন। তারপরে তোয়ালে দিয়ে পা মুছেও দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় মৌসমকে।
এর পরেই গ্রামের আদিবাসী ওই মহিলাদের সঙ্গে কোমর দোলান মৌসম। তবে পা ধুইয়ে দেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে যায় সমালোচনা ও বিতর্ক। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মূ বলেন, “আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলিতদের পা ধুইয়ে দেন। আর তৃণমূলের প্রার্থীকে দলিতেরা পা ধুইয়ে দিচ্ছেন। এখানেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির তফাত।” নিন্দা করেছেন ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীও। তিনি বলেন, “একবার শিশুদের দলের শাড়ি-পতাকা হাতে দিয়ে ভোট প্রচার করছেন মৌসম। এ দিন আবার দেখা গেল তাঁর পা ধুইয়ে দেওয়া যাচ্ছে। প্রচারে আসার জন্য এমন কৌশল নিয়েছে তৃণমূল।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে এখানের বিতর্কের কিছু দেখছে না তৃণমূল শিবির। এছাড়া, বানপাহাড় গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ জানান, “এখনও গ্রামে অতিথি আসলে তাঁর পা ধুইয়ে বরণ করা হয়। এদিন মৌসমকেও বরণ করা হয়েছে।” মৌসম বলেন, “বিরোধীরা সব কিছুতেই বিতর্ক দেখতে পাচ্ছে। মানুষ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে আমাদের কাছে আসছেন।”