দেওয়ালে: ভোটের আদলেই পুজোর প্রচার। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুজো হতে এখনও কয়েক মাস বাকি। বরং গোটা রাজ্য জুড়েই এখন বইছে ভোটের হাওয়া। কিন্তু এই ভোটের বাজারেই খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে অনেক জায়গায় দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়তেও শুরু করে দিয়েছে। তাই ভোটের এই হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে এ বার অভিনব কায়দায় দুর্গাপুজোর প্রচারে নামল ফালাকাটার একটি ক্লাব। ভোট প্রচারের আদলেই দুর্গাপুজো নিয়ে তাদের দেওয়াল লিখন ফালাকাটার বাসিন্দাদের নজর কেড়ে নিয়েছে এর মধ্যেই।
ষাট বছর ধরে দুর্গাপুজো করে আসছে ফালাকাটার মুক্তিপাড়া ইউনিট। এ বার ৬১তম বছরে তাদের পুজোর প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটবাজারের মধ্যেই। এই উত্তাপকে কাজে লাগিয়ে অন্যদের কয়েক কদম পিছনে ফেলে দিতে চাইছে তারা, দাবি উদ্যোক্তাদের। প্রতিবার বাংলা নববর্ষের দিন খুঁটিপুজোর মাধ্যমে এই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। আর এ বারে খুঁটিপুজোতেই চমক দিলেন উদ্যোক্তারা। হাতিয়ার করলেন দেওয়াল লিখনকে।
ভোট মানেই প্রচার। চারিদিক পতাকা-ফেস্টুনে ছেয়ে যাওয়া। নানান লেখায় দেওয়াল ভরে যাওয়া। এ বার আলিপুরদুয়ারে ভোট ছিল প্রথম দফায়। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে যায়৷ স্বাভাবিকভাবেই ভোট নিয়ে মেতে ওঠেন সবাই৷ আর সেই ভোটের হাওয়াতেই নিজেদের পুজোর নজর কাড়তে অভিনব চিন্তাটি মাথায় আসে মুক্তিপাড়া ইউনিটের সদস্যদের৷ দেবী দুর্গাকে ধুনুচি চিহ্নে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু হয় দেওয়াল লিখন। ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ফালাকাটায় তাদের ক্লাব সংলগ্ন একটি জায়গাতেই এই দেওয়াল লিখন হয়েছে৷ তবে দু-একদিনের মধ্যে আরও পাঁচটি দেওয়াল লেখা হবে৷
ক্লাব সম্পাদক সনাতন রায় বলেন, “প্রতিবার খুঁটিপুজোর দিন আমাদের একটি ব্যানার টাঙানো হয়৷ যাতে আমাদের পুজোর যাবতীয় ভাবনা তুলে ধরা হয়৷ কিন্তু এবার ভোটের আবহেই আমাদের খুঁটিপুজো হয়ে৷ ফলে সেই সময় সকলে ভোট নিয়ে ব্যস্তও ছিলেন৷ তাই ভোটের বাজারেও মানুষের নজর আমাদের পুজোর দিকে ঘোরাতে অন্যরকম কিছু করার সিদ্ধান্ত নিই। ভোট প্রচারে দেওয়াল লিখন যেমন আকর্ষণীয় হয়, সে ভাবেই দুর্গাপুজো নিয়ে আকর্ষণীয় দেওয়াল লেখার সিদ্ধান্ত নেই আমরা৷”
তবে এ বারের দুর্গাপুজোয় তাদের থিম কী হবে, তা এখনও প্রকাশ্যে আনেননি ক্লাবের কর্তারা৷ ক্লাবের এক কর্তার কথায়, “সবে তো চমক শুরু হয়েছে৷ আগে দেখুন কী হয়!”