Bengal Safari Park

সিংহের ঠিকানা হতে চলেছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক, চলতি বছরের শেষে আসতে পারে রাজঅতিথিরা

আগরা ও হায়দরাবাদের বনবিভাগের সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুধু তা-ই নয়, অতিথি হতে চলেছে জেব্রা, ক্যাঙারু, একশৃঙ্গ গন্ডার, স্লথ বিয়ারও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ০১:০৯
Share:

সাফারি এনক্লোজারে রয়্যাল বেঙ্গল বিভান এবং শীলার নতুন শাবকরা। নিজস্ব চিত্র।

সিংহের আস্তানা হতে চলেছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক। চলতি বছরের শেষে, নয়তো নতুন বছরের শুরুতেই সাফারি পার্কে রাজঅতিথি হতে চলেছে তারা। এ ব্যাপারে আগরা ও হায়দরাবাদের বনবিভাগের সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুধু তা-ই নয়, অতিথি হতে চলেছে জেব্রা, ক্যাঙারু, একশৃঙ্গ গন্ডার, স্লথ বিয়ারও।

Advertisement

বেঙ্গল সাফারি পার্কে রয়্যাল বেঙ্গল বিভান এবং শীলার চার নতুন শাবককে পর্যটকদের জন্য সাফারি এনক্লোজারে ছাড়া হল সোমবার। সেই অনুষ্ঠানেই এসেছিলেন বনমন্ত্রী। জন্মের পর থেকে গত সাত মাস ধরে ওই শাবকদের নাইট শেল্টারে রেখে দেখাশোনা করা হত। এ বার সপ্তাহে দু’দিন করে সাফারির জন্য ছাড়া হবে। বাকি দিনগুলি সামলাবে শীলা-বিভানের আগের চার সন্তান কিকা, রিকা ও ইকা। রয়্যাল বেঙ্গল বাঘ ও তাদের শাবকদের দেখতে সব মরসুমেই ভিড় থাকে সাফারি পার্কে। নয়া ঘোষণা পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

নতুন শাবকদের এনক্লোজারে ছাড়ার অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী বেঙ্গল সাফারি পার্ক নিয়ে বেশ কয়েকটি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘চারটি রয়্যাল বেঙ্গল শাবক ছাড়া হল। ভবিষ্যতে সিংহ, জেব্রা, কিছু ক্যাঙারু, একশৃঙ্গ গন্ডার নিয়ে আসার কথা রয়েছে। এখন দুটো হাতি সাফারি সামলায়। আগামী দিনে সেই সংখ্যাটা বাড়িয়ে আট থেকে দশটি করার কথা ভাবা হয়েছে।’’ সিংহ নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘সিংহের জায়গা ইতিমধ্যেই স্থির করা হয়েছে। হয় চলতি বছরের শেষে নয়তো নতুন বছরের উপহার হিসেবে বেঙ্গল সাফারির ঝুলিতে সিংহ থাকবে। এ ছাড়াও রয়্যাল বেঙ্গল বাঘের এনক্লোজার অটোমেটিক (স্বয়ংক্রিয়) করা হবে। পাখিদের উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। মানুষ থাকবে খাঁচায়।’’

Advertisement

সাফারি পার্কে সিংহ নিয়ে আসার ব্যাপারে রাজ্য জু কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, ‘‘সিংহ, জেব্রা, তৃণভোজী কিছু প্রাণীর জন্য আমরা কেন্দ্রীয় জু কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদন চেয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের বৈঠকেই হয়তো ছাড়পত্র মিলবে। স্লথ বিয়ারের জন্য রাঁচী, সিংহের জন্য আগরা ও হায়দরাবাদের বনবিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ছাড়া হরিণ, জেব্রা তো আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকেই পেয়ে যাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement