তিন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিধায়ক সরিতা রাই, অমর সিংহ রাই ও রোহিত শর্মার সঙ্গে কথা বলছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। ছবি: সুমন বল্লভ
বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু কর্মিসভা করতে এসেছেন। এই সময়টাকেই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার জন্য বেছে নিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু প্রথম দফায় সব ক’টি ওয়ার্ডে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারল না তারা। বাদ রইল অন্তত ৬টি ওয়ার্ড। এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। পরে সিপিএমের তরফে বলা হয়, ওয়ার্ডগুলিতে একাধিক প্রার্থিপদ প্রত্যাশী থাকায় নাম চূড়ান্ত করা যায়নি। কিন্তু দলের অন্দরে বক্তব্য, ঠিকঠাক প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলেই আপাতত ওই ৬টি ওয়ার্ডে এখনও কিছু ঠিক করা হয়নি।
সিপিএম বা বামফ্রন্টের ভূমিক্ষয় যে থামছে না, সেটা এর আগেও একাধিক ভোটে দেখা গিয়েছে। সে কোচবিহার লোকসভা আসনে উপনির্বাচনই হোক বা সাম্প্রতিক পুরভোট। এ বারে ধূপগুড়িতে ১৬টি আসনের মধ্যে ৬টি প্রার্থী খুঁজে না পাওয়া কি সেই ক্ষয়কেই তুলে ধরছে? এই প্রশ্ন ঘুরছে দলের মধ্যেও।
সিপিএমে স্থানীয় নেতৃত্ব অবশ্য বলছেন, তাঁরা প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক। এই ওয়ার্ডগুলিতে একাধিক প্রার্থিপদ প্রত্যাশী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে সঠিক লোকটিকে বেছে নিতে কিছু সময় লাগছে। অচিরেই বাকি ওয়ার্ডগুলিতেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
এ দিন ধূপগুড়িতে কর্মিসভা করেন বিমানবাবু। তিনি একে একে স্থানীয় দুর্নীতির ইস্যুগুলি তুলে ধরে কর্মীদের প্রচারে নামতে বলেন। এই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে ধূপগুড়ির সেই নবম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর বিষয়টি। বস্তুত, গত বিধানসভা ভোটে এই নিয়ে তোলপাড় হয় সারা রাজ্য। ছাত্রীর বাবার কাছে একাধিক বার গিয়েছিলেন সিপিএম এবং কংগ্রেসের নেতারা। এলাকার কেউ কেউ বলছেন, কিন্তু ভোটের পরে সেই পরিবারটি কেমন আছে, বিশেষ কেউ খোঁজও করেননি। এ বার আবার বিষয়টি নিয়ে সরব হতে নির্দেশ দিলেন বিমানবাবু।
একই ভাবে তিনি জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে ধূপগুড়ি পুরসভায় তৃণমূল কী কী দুর্নীতি করেছে, তাই নিয়েও সরব হতে হবে। বিমানবাবুর বক্তব্য, তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুর্নীতি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে। বৈঠক করতে হবে পাড়ায় পাড়ায়। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই অভিযোগের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, আগে সব ওয়ার্ডে বামেরা প্রার্থী দিক, তার পরে এ সব কথা বলতে আসবেন।
বিমানবাবু দার্জিলিঙে অশান্তির জন্য তৃণমূল ও বিজেপি একসঙ্গে দায়ী করেছেন। বলেছেন, ‘‘এটা ওদের গট-আপ খেলা।’’ সেই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।