প্রতীকী ছবি
তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা ছাড়া জেলার বাকি চার পুরসভার আসন রফা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলল বাম ও কংগ্রেসের যৌথ মঞ্চ। বুধবার বিকেলে কোচবিহারে জেলা কংগ্রেস দফতরে ওই দুই শিবিরের নেতাদের বৈঠক হয়। তাতেই আসন রফার চিত্র মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে যায়। কোচবিহার, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি পুরসভার প্রায় সব আসন বণ্টন হয়েছে। হলদিবাড়িতে শুধু একটি আসন নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার কোচবিহারে মঞ্চের কর্মিসভার আগে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দুই শিবিরের নেতারাই চাইছেন, ওই কর্মিসভাতেই সব পুরসভার আসন ঘোষণা করতে।
সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কর্মিসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ছয় পুরসভার আসন ঘোষণা করা হতে পারে।” জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসন বণ্টনের নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। সামান্য দু’একটি ক্ষেত্রে বাকি আছে। দ্রুত সে সবও মিটে যাবে বলে আশা করছি।” ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি দীপক সরকার বলেন, “সর্বত্র ঐক্যবদ্ধ লড়াই হচ্ছেই।”
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ আসনের কোচবিহার পুরসভায় আসন বণ্টন হয়েছে ১৫-৫ ফর্মূলায়। ওই পুরসভায় কংগ্রেসকে ৫টি ওয়ার্ড ছাড়া হচ্ছে। সেগুলি হল ৯, ১১, ১২, ১৫ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড। বাকি ১৫টি আসনে লড়বে বামেরা। তার মধ্যে সিপিএম ৭টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ৫টি, সিপিআই ও আরএসপি ১টি আসনে প্রার্থী দেবে। মেখলিগঞ্জে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেস ৩টি করে আসনে লড়বে বলে ঠিক হয়েছে। দিনহাটা পুরসভায় ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিএম, কংগ্রেস যথাক্রমে ৮টি, ৫টি ও ৩টি আসনে প্রার্থী দেবে। হলদিবাড়ি পুরসভায় ৫-৫ আসন নিয়ে ঐক্যমত হলেও একটি আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জ নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এক সিপিএম নেতার কথায়, ‘‘তুফানগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জেলার বাইরে রয়েছেন। তাই ওই পুরসভা নিয়ে আলোচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মাথাভাঙা পুরসভার সমস্ত আসন নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।’’ দলের একটি সূত্রের দাবি, তুফানগঞ্জে ১২টি আসনের মধ্যে ৪টি দাবি করেছে কংগ্রেস। বাম শিবির তা মানতে চায়নি। মাথাভাঙা পুরসভার বেশিরভাগ আসন বণ্টনও মোটামুটি চূড়ান্ত। দ্রুত একশো শতাংশ আসনই বণ্টন হয়ে যাবে।