সিকিমে ধস, বিপাকে পর্যটকরা

গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিকিমের একাংশ। সিকিমের আবহাওয়ার আঁচ এসে পড়েছে দার্জিলিঙেও। শনিবারের বৃষ্টির পর রবিবার সকাল থেকে পাহাড়-সমতল মেঘলা আকাশ ঢেকে ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৩
Share:

রাস্তা-বন্‌ধ: ধস পড়ে বন্ধ জহরলাল নেহরু মার্গ। নিজস্ব চিত্র

গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিকিমের একাংশ। সিকিমের আবহাওয়ার আঁচ এসে পড়েছে দার্জিলিঙেও। শনিবারের বৃষ্টির পর রবিবার সকাল থেকে পাহাড়-সমতল মেঘলা আকাশ ঢেকে ছিল। পাহাড়ের মাঝেমধ্যে ঝির‌ঝিরে বৃষ্টিও হচ্ছে। দুপুরের পর কিছু ক্ষণ সূর্যের দেখা মেলে। কিন্তু জোরালো হাওয়ায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে গরমের দাপট নেই বললেই চলে।

Advertisement

দার্জিলিঙের আবহাওয়া পাহাড়ে পর্যটকদের টেনে নিয়ে গেলেও এ দিন সকাল থেকে সিকিমের পরিস্থিতি হতাশা ছড়িয়েছে পর্যটন মহলে। ধস নেমে নাথুলা, ছাঙ্গুর জওহরলাল নেহরু মার্গে রাস্তা বন্ধ হয়েছে।

আগামী ২-৩ দিন পাহাড়ে এমনই আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে। পর্যটন সংগঠন অ্যাক্টের কর্তা রাজ বসু জানান, গরমের মরসুমের শুরুটা ভাল হল না। দার্জিলিঙে সকাল বা বিকেলে বৃষ্টি হচ্ছে। এতোয়ার সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘মার্চ-এপ্রিলের ঠান্ডা আবহাওয়া পর্যটকদের টেনে আনছে। কিন্তু আশা করছি, দ্রুত রোদ ঝলমলে আবহাওয়া সিকিমের পর্যটকেরা উপভোগ করবেন।

Advertisement

সিকিম প্রশাসন সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরেই উত্তর সিকিম এবং পূর্ব সিকিমে বৃষ্টি চলছে। কিছু এলাকায় বরফ পড়ছে। তার জেরে গ্যাংটক-উত্তর সিকিমের রাস্তাটি কয়েক দফায় বন্ধ হয়। শনিবার সন্ধ্যার পরেই চুংথাং-এর রাংমা রেঞ্জে তিস্তার জল বেড়ে ভাসিয়ে দেয় বিরাট এলাকা। বিআরও এবং আইটিবিপি ক্যাম্পের ১৫টি ট্রিপার ট্রাক জলের তোড়ে ভেসে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এ দিন সকাল থেকে বড় পাথর, মাটি কাদা নেমে পূর্ব সিকিমের ৯ মাইলে জহরলাল নেহেরু মার্গ বন্ধ হয়ে যায়। ছাঙ্গু, নাথুলা এবং বাবা মন্দির যাওয়ার পারমিট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। গ্যাংটকে বসে থাকেন বহু পর্যটক। ইয়ুমথাং যাওয়ার রাস্তা বরফে ঢেকে যাওয়ায় সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লাচেন এবং লাচুং-এর পরিস্থিতি ভাল নয়। সিকিমের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, রাস্তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement