আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। ফাইল চিত্র।
হাসিমারা থেকে যাত্রিবাহী বিমান পরিষেবা চালুর চেষ্টা চলছে বলে শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীর সভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু মুখে চেষ্টার কথা না বলে, বিমানবন্দরের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক বলে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা।
শিলিগুড়িতে বুধবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি, হাসিমারায় যদি একটি সিভিল এয়ারপোর্ট করা যায়।” সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, “বালুরঘাটে আমরা কাজ করছি। মালদহে করছি। কোচবিহারে ইতিমধ্যেই করেছি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বলছি, আমাদের রিজিওনাল কানেক্টিভিটির ফ্লাইটগুলি দাও।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “হাসিমারাটা হয়ে গেলে (সিভিল এয়ারপোর্ট) ভাল হবে। এ জন্য যে, এর এক দিকে জয়গাঁ, অন্য দিকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারকে কাছাকাছি পেয়ে যাবে। শুধু বাগডোগরা নয়, সঙ্গে আরও তিন-চারটি বিমানবন্দর যুক্ত হবে।”
হাসিমারায় যাত্রিবাহী বিমান পরিষেবা চালু করতে মাস কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে চিঠি দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। তার পরেই বার্লা জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সে সময়ে তাঁকে চিঠি দিয়ে জানান, হাসিমারায় যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালু করতে রাজ্যের কাছে ৩৭.৭৪ একর জমি চেয়েছে কেন্দ্র। দিন কয়েক আগে, বার্লা আলিপুরদুয়ারে অভিযোগ করেন, হাসিমারায় যাত্রিবাহী বিমান পরিষেবা চালুর জন্য জমি চেয়ে তিনি নিজেও প্রায় তিন মাস আগে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখনও সে চিঠির জবাব দেননি।
বার্লা এ দিনও অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী এখনও তাঁর চিঠির জবাব দেননি। তবে একই সঙ্গে বলেন, “এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চাই না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নিজে হাসিমারায় যাত্রিবাহী বিমান পরিষেবা চালুর চেষ্টার কথা বলেছেন। এটা ভাল দিক। আমি চাই, শুধু মুখে চেষ্টার কথা না বলে মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। কেন্দ্রের চাহিদা মতো দ্রুত জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। যাতে হাসিমারায় যাত্রিবাহী বিমান পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়।”
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী পাল্টা বলেন, “রাজ্যের তৃণমূল সরকার সব সময়েই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি চায়। তাই এ নিয়ে বার বার কেন্দ্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন। কিন্তু, কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনও উত্তর দেয়নি। তাই আমরা চাই, এ নিয়ে জন বার্লার মাধ্যমে না এসে কেন্দ্র সরাসরি রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।”