বামফ্রন্টের মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের ডাকে সাড়া দিয়ে শিলিগুড়ির একটি সেতুর জন্য সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য করছেন কুণাল ঘোষ।
পঞ্চনই নদীর উপরে একটি সেতু তৈরির জন্য অশোকবাবু কয়েক মাস আগে সাংসদ সচিন তেণ্ডুলকরের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন। সাড়া মেলেনি। সেই সেতুটির জন্যই অর্থ বরাদ্দ করেছেন কুণাল। সেই সঙ্গে, আরও কয়েকটি কাজের জন্যও সাংসদ তহবিল থেকে সাহায্য করছেন তিনি। কুণাল বলেন, ‘‘মেয়র ভাল কাজের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের উপকার হবে। সে জন্যই তহবিল থেকে সাহায্য করছি।’’ মেয়রও বলেন, ‘‘সাংসদ কুণালকে ধন্যবাদ। তিনি ১ কোটি টাকা দেবেন বলে জানান। পুরসভার আর্থিক সমস্যার মধ্যে টাকা কাজে লাগবে।’’
পুর কর্তৃপক্ষই জানান, শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আবর্জনা যাতে লাগোয়া সাহু নদীতে না পড়ে, সে জন্য গার্ড ওয়াল তৈরির প্রয়োজন। তা ছাড়া সেখানে পুর কর্তৃপক্ষ গাড়ি রাখার জন্য শেড তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন। ওই দু’টি কাজেরও জন্যও কুণাল অর্থ সাহায্য করছেন তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে। ইতিমধ্যেই সেতুর কাজের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা, গাড়ি রাখার শেড এবং ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাজের জন্য ৪৮ লক্ষ টাকা অনুমোদন করছেন বলে জানিয়েছেনও।
ইতিমধ্যেই রূপা গঙ্গোপাধ্যায় থেকে দার্জিলিঙের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার কাছেও অর্থ সাহায্য চেয়েছেন মেয়র। কয়েক মাস আগে রাস্তা, নিকাশি তৈরির মতো কয়েকটি ছোট কাজের জন্য এক কোটি টাকা দিয়েছেন দার্জিলিঙের সাংসদ। প্রয়োজনে পরিকল্পনা করে পাঠালে তিনি আরও সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে। সীতারাম ইয়েচুরি, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও শিলিগুড়ি পুর এলাকায় উন্নয়ন কাজের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ সাহায্য মিলেছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য না-মেলার অভিযোগ তুলে আসছেন মেয়র।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘মেয়র মিথ্যে বলছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে রাস্তা থেকে শহরের অনেক উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। সাংসদরা অর্থ সাহায্য দিচ্ছেন। তাও মেয়র কিছু করতে পারছেন না।’’
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০১৫-২০১৬ সালে পরিকল্পনা খাতে রাজ্য টাকা দেয়নি। ২০১৬-২০১৭ সালে ২ কোটি ৬১ লক্ষ দিয়েছে কর্ম সংস্থান প্রকল্পে। কেন্দ্রের অর্থ যোজনার ১৬ কোটি টাকা মিলেছে। সঙ্গে পুরসভার আয় বাড়িয়েই কাজ করতে হবে।